মন্তেশ্বরের ভাগরামূল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেটি গ্রাম পরিদর্শন করলেন বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন। প্রতিনিধি দলে জেলাশাসক ছাড়াও ছিলেন, অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিত দত্ত, কালনার মহকুমাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, মন্তেশ্বরের বিডিও শাশ্বত দাঁ, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুসরুনা ইয়াসমিন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ মন্তেশ্বর ব্লকে ১০০ দিনের কাজের হেল্প লাইনের উদ্বোধন করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভেটি গ্রামে আসেন তাঁরা।
সরকারি প্রতিনিধি দলের কাছে গ্রামবাসীরা নানা সমস্যার কথা বলেন। কিছু সমস্যার সমাধান হয় সঙ্গে সঙ্গেই। জেলাশাসকের কাছে গ্রামের বিষ্ণু মালিক, মন্দিরা মণ্ডলেরা জানান, গ্রাম থেকে বাসস্ট্যান্ড তিন কিলোমিটার দূরে। বাস ধরতে সমস্যা হয়। জেলাশাসক ব্লক প্রশাসনকে জানান, একশো দিনের কাজের আওতায় গ্রামের রাস্তাটি তৈরি করে দিতে। গ্রামবাসীরা আরও জানান, গ্রামে সরকারি নলকূপের সংখ্যা একটি। এই সমস্যা মেটাতে গ্রামে সজলধারা প্রকল্প চালুর দাবি জানান তাঁরা। |
যদিও সরকারি আধিকারিকেরা জানান, জনসংখ্যা কম থাকায় গ্রামে সজলধারা প্রকল্প চালু করা যাবে না। তবে গ্রামে আরও একটি নলকূপ তৈরির আশ্বাস দেওয়া হয়। আলোচনায় উঠে আসে গ্রাম থেকে দূরে রেশন আনতে যাওয়ার কথা। জেলাশাসক জানান, গ্রামবাসীদের সুবিধার জন্য প্রতি মাসে এক বার রেশন ডিলার গ্রামে আসবেন। যাঁদের শৌচাগার নেই, তাঁদের তালিকা তৈরি করে পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনে জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী ভর্তূকি দিয়ে শৌচাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রামের স্বয়ম্বর গোষ্ঠীগুলিকে সেলাই-সহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা জানায়, তাঁরা সরকারি ভাতার টাকা পাচ্ছে না। মিলছে না কন্যাশ্রীর ফর্ম। এছাড়াও আলোচনায় উঠে আসে তপশিলী জাতি-উপজাতি শংসাপত্র না পাওয়া, ১৮ বয়স বয়স হয়ে গেলেও গ্রামের অনেকের ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়।
আলোচনার পরে রাতে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকেন। বুধবার কালনার মহকুমা শাসক শশাঙ্ক শেঠী বলেন, “জেলাশাসকের উপস্থিতিতে গ্রামে বসেই বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে এই কাজ চালানো হবে।” |