|
|
|
|
রক্ষাকবচ পেলেন না তেজপাল, আগাম জামিন নিয়ে শুনানি আজ |
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
মিলল না রক্ষাকবচ। ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ তেজপালের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল না দিল্লি হাইকোর্ট। এক দিন পিছিয়ে আগামিকাল তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। এর মধ্যে তহেলকার প্রাক্তন সম্পাদক যাতে কোনও ভাবেই দেশ ছাড়তে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সীমান্তের সমস্ত চেকপোস্ট ও বিমানবন্দরগুলিকে সতর্ক করেছে গোয়া পুলিশ। তেজপাল নিজে অবশ্য আজ ঘটনাটি গোয়া সরকার তথা বিজেপির চক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছেন।
কিছু দিন আগেই তেজপালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই পত্রিকারই এক তরুণী সাংবাদিক। এফআইআর দায়ের করে গোয়া পুলিশ। এর পরেই আইনজীবী কে টি এস তুলসী ও গীতা লুথরা দিল্লি হাইকোর্টে তেজপালের আগাম জামিনের আর্জি জানান। পাশাপাশি, জামিন নিয়ে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তেজপালের গ্রেফতারিতে নিষেধাজ্ঞা জারির আর্জিও জানানো হয়। আজ আদালতে তেজপালের আগাম জামিনের আর্জির তীব্র বিরোধিতা করে গোয়া পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানান, তেজপালের আইনজীবী তাঁদের হাতে আগাম জামিনের আবেদনের কোনও প্রতিলিপিই দেননি। তখন তেজপালের আইনজীবীকে ওই প্রতিলিপি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সুনীতা গুপ্ত।
হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে তেজপাল আজ দাবি করেন, বিজেপি শাসিত গোয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের রাজনৈতিক চাপের কারণেই এই তদন্ত চালানো হচ্ছে। গোয়া পুলিশের তদন্ত ‘অস্বচ্ছ ও অন্যায্য’। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেন তেজপাল। সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য “খুবই হালকা চালে কথা বলছিলাম। কয়েক সেকেন্ডের জন্য যা কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের জন্ম দেয়। তবে আমাদের মধ্যে কোনও ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত তৈরি হয়নি।”
আজই মুম্বই গিয়ে অভিযোগকারিণী সাংবাদিকের বয়ান নথিভুক্ত করেছে গোয়া পুলিশের একটি দল। পরে পুলিশ-সূত্র জানিয়েছে, তহেলকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক সোমা চৌধুরীকে ই-মেল মারফত জানানো অভিযোগের বয়ানের সঙ্গে সম্পূর্ণ মিলে গিয়েছে ওই তরুণীর আজকের জবানবন্দি। সূত্রের খবর, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ফের জবানবন্দি দিতে বুধবার অভিযোগকারিণীকে নিয়ে যাওয়া হবে গোয়ায়। এর পরই শুরু হতে পারে তেজপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পালা।
তবে তেজপালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের গা-ছাড়া মনোভাবের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার চাকরি ছেড়েছেন তহেলকার আর এক সাংবাদিক, রানা আয়ুব। গত সপ্তাহে ইস্তফা দিয়েছিলেন ওই পত্রিকার চার সাংবাদিক। গত কাল চাকরি ছাড়েন অভিযোগকারিণী স্বয়ং। এক বিবৃতিতে জানান, তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। সংস্থার তরফে কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে না। ঠকানো হয়েছে তাঁকে। ওই তরুণী এ-ও দাবি করেন, সংস্থার কর্মীদের পাঠানো এক ই-মেলে সোমা চৌধুরী পুরো ঘটনাকে শুধুমাত্র ‘অপ্রীতিকর ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ঘটনার তদন্তের জন্য তহেলকার তরফে যে অন্তর্বর্তী কমিটি গড়া হয়েছিল, এ দিন তাতে নেতৃত্বদানে অস্বীকার করেছেন প্রকাশক উর্বশী বুতালিয়া।
আজ তেজপালের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামেন গোয়া রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। তেজপালের অপরাধ আড়াল করার দায়ে সোমা চৌধুরীর গ্রেফতারিরও দাবি জানান তাঁরা। কমিশনের চেয়ারম্যান বিদ্যা শেঠ তানাভাড়ে বলেন, “সোমা আগে থেকেই এই অপরাধ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। গোটা বিষয়টা পুলিশকে জানানো উচিত ছিল তাঁর। কিন্তু তেজপালকে বাঁচাতে সব কিছু আড়াল করে গিয়েছেন তিনি। মহিলা হিসেবে যা অনুচিত।” সুযোগ বুঝে তহেলকা প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিজেপি-ও। দলীয় নেতা ভি কে মলহোত্র বলেছেন, “আসারামের মতোই জেলে যাওয়া উচিত তেজপালের।” |
পুরনো খবর: তেজপালকে নিয়েই মতবিরোধ মণীশ-জহরের |
|
|
|
|
|