আচরণবিধি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। সোমবার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকের পরে লিখিত ভাবে তা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু সোমবার আচরণবিধি নিয়ে কোনও আলোচনা হলই না। কবে সেটি লিখিত ভাবে প্রকাশ করা হবে, তা-ও এ দিন নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের ভিতরে নেশা করে বিশৃঙ্খল আচরণ করার অভিযোগ ওঠে। মূল ভবনের দেওয়ালে একটি ধর্ষণ-বিরোধী ছবি এঁকেছিলেন এই ছাত্রছাত্রীরা। সেই ছবিতে আপত্তি তুলে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানান অন্য এক দল পড়ুয়া। তার ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ ছবিটি মুছে দেন। সেই সঙ্গে ১৪ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকা হয় সোমবার। এ দিন তাঁদের অভিভাবকদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ক্যাম্পাসে কড়া আচরণবিধি চালু করা হবে। নেশাভাঙকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, কোনও সামাজিক মঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয় সম্বন্ধে মানহানিকর মন্তব্য করা যাবে না এবং ছুটির দিন সন্ধ্যা ৬টা, অন্যান্য দিন রাত ৮টার পরে ক্যাম্পাসে থাকা যাবে না মূলত এই তিনটি নিয়মের কথা জানান তাঁরা। এর মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের পরে ক্যাম্পাসে থাকা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে সেপ্টেম্বরেই। কিন্তু বাকি নিয়মগুলি চালু করার ব্যাপারে সোমবার কোনও আলোচনাই করেননি কর্তৃপক্ষ। এই নিয়মগুলি খাতায়-কলমে কার্যকর হবে কি না, হলে কবে হবে, সেই বিষয়েও কিছু বলতে চাননি তাঁরা। যদিও ক্যাম্পাসে নেশাভাঙকে যে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না, ফের তা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ।
অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে উপাচার্য মালবিকা সরকার এ দিন বলেন, “এই ছেলেমেয়েরা সকলেই অত্যন্ত বুদ্ধিমান, উজ্জ্বল। এদের কোনও সমস্যা হলে তা নিয়ে অভিভাবক এবং আমরা সকলেই উদ্বিগ্ন। সেই উদ্বেগ নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবক, দু’পক্ষই ছাত্রছাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে অভিভাবকদের ফের ডাকা হতে পারে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর। তবে কারও বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
|