শহরের তিনটি পৃথক জায়গা থেকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। এদের মধ্যে রয়েছে এক সদ্যোজাতও। পুলিশ জানায়, সোমবার, শোভাবাজারে একটি বাড়ির শৌচাগার পরিষ্কার করা সময়ে এক সাফাইকর্মী এক শিশুকন্যার দেহ দেখতে পান। ওই বাড়িতে থাকেন ছ’জন ভাড়াটে। বাসিন্দারা জানান, শৌচাগারের সামনের দরজা সব সময় খোলা থাকে। ভাড়াটে ও স্থানীয়েরা সেটি ব্যবহার করেন। সাফাইকর্মী ভিকি সাউ মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে জানান। এ দিনই কসবার সুইনহো লেনে একটি বাড়ি থেকে মুনমুন নস্কর নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, বছর দেড়েক আগে মুনমুনের বিয়ে হয় গৌরব নস্করের সঙ্গে। তাঁদের সাত মাসের একটি ছেলে আছে। এ দিন সুইনহো লেনে বাপের বাড়ি এসে মায়ের সঙ্গে পুজো দিতে বেরোয় মুনমুন। বেলায় এক প্রতিবেশী তাঁকে ডাকতে এসে দেখেন, দরজা বন্ধ। অনেক ডেকেও সাড়া মেলেনি। পরে দরজা খুলে মুনমুনের ঝুলন্ত দেহ মেলে। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। অন্য দিকে, তারাতলার নেচার পার্কের কাছে একটি খাল থেকে এ দিন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির (৫০) দেহ মেলে।
|
র্যাগিং-শাস্তি বিবেচনায় আচার্য |
র্যাগিংয়ে দুই ছাত্রের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্তের ভার আচার্য তথা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের হাতে ছাড়ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল (ইসি)-এর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ছাত্র শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছেন। ইউজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী শুধু আচার্যই ওই আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে পারেন। তাই তাঁর কাছেই তা পাঠানো হচ্ছে। ওই দুই ছাত্রের শাস্তির জেরে পুজোর আগে তৎকালীন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন এক দল পড়ুয়া। পরে উপাচার্য শৌভিক ভট্টাচার্য পদত্যাগ করেন। শাস্তি কমানো বা মকুব করা নিয়ে তৎকালীন ইসি-সদস্য অভিজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে উপাচার্যের মতভেদ দেখা দেয়। শৌভিকবাবুর ইস্তফার পরে অভিজিৎবাবুকে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য কমিটি গড়েছিলেন শৌভিকবাবু। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তিন সদস্যের কমিটি এ মাসের গোড়ায় উপাচার্যকে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে এ দিন ইসি-র বৈঠকে আলোচনার কথা থাকলেও তা হয়নি।
|