কেতুগ্রাম কাণ্ডে যাত্রীর সাক্ষ্য |
কেতুগ্রামে ছোট রেলে ধর্ষণ ও ডাকাতি ঘটনায় সোমবার সাক্ষ্য দিলেন ওই ট্রেনের যাত্রী বীরভূমের আমোদপুরের বাসিন্দা শিবরাম সূত্রধর। কাটোয়া মহকুমা ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারকের কাছে ওই ট্রেনে ডাকাতি ঘটনার বিবরণ দেন তিনি। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, শিবরামবাবু ও তাঁর স্ত্রী আমোদপুর থেকে কাটোয়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। শিবরামবাবু জানিয়েছেন, ট্রেন থামার পর বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী ট্রেনের ভিতর লুঠপাট চালায়। তাঁদের দিকেও ভোজালি হাতে এগিয়ে আসে কয়েকজন। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মাথায় ভোজালি ঠেকিয়ে ১০০ টাকা ও আঙুলে থাকা সোনার আংটি কেড়ে নেয়। এর আগে, একই বক্তব্য তিনি তদন্তকারী রেল পুলিশকে জানিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার শিবরামবাবুর স্ত্রী আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কেতুগ্রামের পাঁচুন্দি ও অম্বলগ্রাম স্টেশনের মাঝে ট্রেন থামিয়ে লুঠপাট করার সময় মেয়ের সামনে এক মহিলাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
|
আচমকা ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ জানিয়ে, জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার বর্ধমানের টাউন হলে জড়ো হয়েছিলেন সিভিক পুলিশের একাংশ। তবে তাঁদের প্রতিনিধি দলটি জেলাশাসকের দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরেই টাউন হলে জড়ো হওয়া সিভিক পুলিশেরদের বেশ কয়েকজনকে বেআইনি জমায়েতের দায়ে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানা। আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ধৃতের সংখ্যা ৪৩। আগামীকাল তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে। তবে সিভিক পুলিশদের দাবি, আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করছি। তা সত্ত্বেও পুলিশ কেন আমাদের গ্রেফতার করল তা বুঝতে পারছি না। এ নিয়ে পরপর দু’বার আন্দোলনে নামা সিভিক পুলিশদের গ্রেফতার করল বর্ধমান থানা।
|
স্থায়ীকরণ চেয়ে বিক্ষোভ বর্ধমানে |
চাকরিতে স্থায়ীকরণের দাবিতে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেটা এন্ট্রি অপারেটরেরা বিক্ষোভ দেখলেন বর্ধমান জেলা পরিষদে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ন্যূনতম কমিশনের বিনিময়ে কাজ করছেন। বেশির ভাগ দিনই সকাল আটটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত তাঁদের কাজ করতে হয়। সরকারি নথিতে তাঁদের ‘ভিলেজ লেবেল এন্টারপ্রেনার’ অর্থাৎ ব্যবসাদার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেও তাঁদের স্থায়ী করা হচ্ছে না। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অল গ্রাম পঞ্চায়েত ডেটা এন্ট্রি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনে’র বর্ধমান জেলার সম্পাদক মৈনাক মণ্ডল বলেন, “জেলার ২৭৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক জন করে ডেটা অপারেটর কাজ করেন। একটি তথ্য কম্পিউটারে তুলে আমরা পাই মাত্র ৫০ পয়সা।” বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক হৃষীকেশ মুদি বলেন, “আমি স্মারকলিপি জমা নিয়েছি। সরকারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
|
বিচারক ছুটিতে, ফলে পূর্বস্থলীর তৃণমূল নেতা সজল ঘোষ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হল না সোমবার। ১৯ নভেম্বর থেকে নবদ্বীপের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন জজের আদালতে ওই মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সোমবার ছিল এই পর্বের শেষ দিন। সরকারি কৌঁসুলি সনৎকুমার রায় জানান, পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৬ থেকে ২০ ডিসেম্বর। |