ফাঁকা রাস্তায়, ল্যাম্পপোস্টের নীচ থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ মিলল মাঝ রাতে। রবিবার কালনা ২ ব্লকের পূর্ব সাতগাছিয়ার বন্দেবাজ গ্রামের ঘটনা। ওই যুবকের নাম গণেশ মণ্ডল (৪০)। বাড়ি ওই গ্রামেরই মাঝেরপাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় তাঁত ব্যবসায়ী ওই যুবক রোজই কাজ থেকে ফিরে তাস খেলতে যেতেন। ফিরতেন ১১টা নাগাদ। |
এ দিনও গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গণেশবাবুর বাড়ির কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা আর্তনাদ শুনতে পান। তবে যেহেতু প্রায় দিনই কিছু লোক মদ খেয়ে ওই রাস্তা দিয়ে ফেরার সময় হল্লা করে, তাই ওই আওয়াজকেই প্রথমে গুরুত্ব দেননি বাসিন্দারা। পরে ১২টা নাগাদ কয়েকজন বেরিয়ে দেখেন রাস্তার ধারে একটি ল্যাম্পপোস্টের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গণেশবাবু। একপাশে সাইকেল ও আরেক চটি জোড়া ছিটকে পড়ে রয়েছে। তাঁদের সন্দেহ হয়, ধারালো কিছু দিয়ে কোপ মারা হয়েছে গণেশবাবুর মাথায়। সঙ্গে সঙ্গেই কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকায় রাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। স্থানান্তরের সময় পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গণেশবাবুর স্ত্রী তরুবালা দেবী বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেরই নার্স। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসার কাজ থেকে ফিরে পরিচিতদের সঙ্গে ওখানে তাস খেলতে যেত। কী করে এমনটা হল বুঝতে পারছি না।” সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান কালনা থানার ওসি ও সিআই। তাঁরা আশপাশের বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তরুবালা দেবীর বয়ানও নেওয়া হয়। তবে বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হননি। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও রাজনৈতির দলের সঙ্গে সক্রিয় কর্মী ছিলেন না গণেশবাবু। পুলিশের অনুমান, পারিবারিক বা ব্যবসায়ীক কোনও কারণে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। |