খেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কৃষকসভার ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে সোমবার অশান্তি হল রায়না থানার পলসনা এলাকায়। সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন চার জন। তাঁদের দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও বাকি দু’জনকে মহেশবাটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, আহতরা তাঁদের সমর্থক।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “খেতমজুরির হার নিয়েই গোলমাল বাধে। তবে বড় সংঘর্ষ বাধার আগেই রায়না থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার খেতমজুরদের ২১০ টাকা মজুরির দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিল কৃষকসভা। এ দিন সকালে কিছু খেতমজুর মাঠে কাজ করতে গেলে কৃষকসভার কিছু সদস্য তাঁদের বাধা দেয় অভিযোগ করে তৃণমূল। এর পরেই গণ্ডগোলের শুরু। তৃণমূলের রায়না-১ ব্লক সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ সাঁই জানান, গত বছর ওই এলাকায় খেতমজুরির হার ছিল দৈনিক ৮০ টাকা নগদ ও দু’কিলো চাল। এ বছর খেতমজুর ও চাষিদের সঙ্গে বৈঠক করে মজুরি বাড়িয়ে নগদ ১০০ টাকা ও দু’কিলো চাল করা হয়। খেতমজুর ও চাষিরা এই মজুরি মেনে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “সোমবার খেতমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গেলে সিপিএমের কৃষকসভা বাধা দেয়। বলে ধর্মঘট করতে হবে। ঘটনার খোঁজ নিতে গেলে পলসনা বাজারের কাছে রাস্তায় ফেলে আমাদের চার জন সমর্থককে পেটায় সিপিএম”।
সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও জেলা কৃষকসভার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেছেন, “ওখানে কী গোলমাল হয়েছে, তা আমি জানি না। তবে রাজ্য সরকারের শ্রম দফতর নির্দেশ দিয়েছে, খাদ্য ছাড়া মজুরি দিতে গেলে ১৯৩ টাকা ও চাল-সহ মজুরি দিতে গেলে ১৭৯ টাকা দিতে হবে। এর পরেই আমরা জেলা জুড়ে ১৩৫ টাকা নগদ মজুরি ও দু’কিলো চালের দাবিতে খেতমজুর ধর্মঘট ডেকেছি। মজুরি কম দিয়ে ধমর্র্ঘট ভাঙার চেষ্টা হলে আমরা মেনে নেব না। |