নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে সমঝোতার জন্য সময় দিতে চায় বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। এক নির্বাচন কমিশনার এর আগে বলেছিলেন, জানুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। আর তার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হবে সোমবারই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি রকিবউদ্দিন রবিবার বলেন, সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে আলোচনার একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁরা জেনেছেন। জানুয়ারিতে নির্বাচন করার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জন্য তাঁরা সর্বতো ভাবে প্রস্তুত। কিন্তু তার আগে দু’পক্ষের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সব সময়েই কাম্য। সে জন্য সোমবার নির্ঘণ্ট ঘোষণা না-করে আরও সময় নেওয়া হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ ও বিরোধী বিএনপি-র মহাসচিবরা শনিবার রাতে গোপনে বৈঠকে বসেছেন, সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশের পরই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ। বিএনপি-র অস্থায়ী মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগির জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগের মহাসচিব আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠক হয়নি। কিন্তু বিএনপি-র এক প্রধান নেতা হান্নান শাহ রবিবার সকালে জানিয়েছেন, তাঁদের এক সাংসদের বাড়িতে দুই মহাসচিব একান্তে বসে কথা বলেছেন। সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও বলেছেন, “দুই মহাসচিবের বৈঠক হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বৈঠক হবে।” কিন্তু সরকারের প্রধান দল আওয়ামি লিগের পক্ষে বৈঠক নিয়ে কিছুই বলা হচ্ছে না। এর মধ্যেই বিএনপি নেতা হান্নান শাহ ডিগবাজি খেয়ে রাতে বলেছেন, বৈঠক হয়ছে, এমন কথা তিনি বলেননি। সব মিলিয়ে, দু’পক্ষের আলোচনা শুরু হয়েছে না হয়নি তার জল্পনাতেই সরগরম বাংলাদেশ।
এ দিনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, “সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিন। যে কোনও মন্ত্রক, যতগুলি খুশি মন্ত্রক দিতে তৈরি আছি।” |