জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সাধারণ নির্বাচন করার দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।
রবি বা সোমবার সেই দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে। অন্যতম নির্বাচন কমিশনার মহম্মদ শাহনেওয়াজ বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা করার পরেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিকেলের এক সভায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন না করে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা মাত্র হরতাল-অবরোধ ডেকে দেশ অচল করে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, কোনও দল অংশ নিক বা না-নিক জানুয়ারিতেই বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। এ দিনই তিনি মক্কা গিয়েছেন ওমরাহ (বিশেষ প্রার্থনা) করতে। নির্বাচন কমিশনার মহম্মদ শাহনেওয়াজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, দেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। রবি বা সোমবারই সবিস্তার দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচন করার দিকে তাঁরা এগোচ্ছেন।
আবার এ দিন বিকেলেই ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাবর্দি উদ্যানে সমাবেশ করে বিএনপি-জামাতে ইসলামি জোট। এই উদ্যানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই শুরুর ঘোষণা করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। আবার এখানেই ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পরাজিত পাক সেনারা। খুন-ধর্ষণ-গণহত্যায় দোষী সাব্যস্ত জামাত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা রং-বেরঙের পোস্টার-ফেস্টুনে আজ সেই মাঠকে ঢেকে ফেলা হয়। জামাতে ইসলামির নেতারা তাঁদের বক্তৃতায় হুমকি দিয়ে বলেন, ভোটের আগে কাদের মোল্লা বা তাঁদের অন্য কোনও নেতার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হলে গোটা বাংলাদেশ জ্বালিয়ে ছারখার করে দেওয়া হবে। জেলবন্দি নেতাদের বড় বড় ছবিও টাঙানো হয় সোহরাবর্দি উদ্যানে।
এই সভা থেকেই বিএনপি-র অস্থায়ী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ঘোষণা করেন, নির্বাচন কমিশন একতরফা ভাবে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা মাত্রই হরতাল-অবরোধে দেশ অচল করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তাঁদের ১৮ দলের জোট তাতে অংশ নেবে না।
সরকার তাঁদের দাবি কানে না তুলে একতরফা ভাবে নির্বাচন করাতে চাইছে। এই নির্বাচন তাঁরা হতে দেবেন না। বিএনপি নেতা বলেন, হরতাল-আইন অমান্য ছাড়া এই সরকারের কানে দাবি পৌঁছে দেওয়ার আর কোনও উপায় নেই।
|