|
|
|
|
ভোট করতে অনড় হাসিনা, অন্তর্বর্তী সরকারে নেই দীপু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঢাকা |
বিএনপি বয়কটে অনড় হলেও জানুয়ারিতে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলেছে শেখ হাসিনার সরকার। পুরনো মন্ত্রিসভা থেকে ৩০ জনকে বাদ দিয়ে আজ নতুন অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। ২৯ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি শপথ নেওয়া ৬ মন্ত্রী ও ২ প্রতিমন্ত্রীও রয়েছেন। এ দিন মন্ত্রীদের দফতর বণ্টনও করেছেন শেখ হাসিনা। বাদ পড়াদের মধ্যে রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগিরও। নতুন বিদেশমন্ত্রী হয়েছেন এ এইচ মাহমুদ আলি। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি এই ‘সর্বদলীয়’ সরকারে যোগ দিলে তাদের দেওয়ার জন্যই কি হাসিনা এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকটি তুলে রাখলেন?
কাল সংসদের শেষ দিনের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কেউ আসুক বা না-আসুক জানুয়ারিতে নির্বাচন হচ্ছেই। বিভিন্ন দলের নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে যে অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা তৈরি হয়েছে, তারাই নির্বাচনের সময়ে প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবে। নির্বাচন কমিশন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে পারে, এই প্রশাসন সে জন্য তাদের সব রকম সহযোগিতা করবে। এ দিন সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি-র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা সোজা-সাপ্টা বলেন, “আপনারা নির্বাচনে আসুন, আলোচনা শুরু করুন।” বিএনপি নেতা অবশ্য উত্তরে শুধুই হেসেছেন। কালও ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল জানিয়েছেন, এই মন্ত্রিসভার অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে না।
কাল সংসদের শেষ দিনের অধিবেশনে হাসিনা আবেগমথিত বক্তৃতায় বলেন, পাঁচ বছর দেশ পরিচালনায় তাঁর সরকার অনেক ভাল কাজ করেছে। আবার অনেক ভুলত্রুটিও করেছে। সে জন্য মানুষ যেন তাঁদের ক্ষমা করে দেন। আগের সরকারের আমলে বাংলাদেশ ‘জঙ্গি ঘাঁটি’ হিসেবে বিশ্বে যে পরিচিতি পেয়েছিল, তা মুছে ফেলাকেই সব চেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন হাসিনা। তিনি বলেন, এর আগে একমাত্র তাঁর সরকারই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছিল। এ বারও তাই হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বার আর কোনও অনির্বাচিত শক্তির হাতে তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না। বিশ্বের সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশে সরকারকে রেখেই নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও তাই হবে।
নতুন মন্ত্রিসভায় আগের মন্ত্রীদের দফতরে খুব সামান্যই রদবদল করা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রকের সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর নেতা হাসানুল হক ইনুকে। অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বে আবুল মাল আব্দুল মুহিতই। আর এক শরিক ওয়ার্কার্স পাটির নেতা রাশেদ খান মেনন ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রক পেয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছেন প্রাক্তন সেনাশাসক হুসেইন মহম্মদ এরশাদের পত্নী, জাতীয় পার্টির নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ। গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কারওকে দেওয়া না হলেও, শামসুল হক টুকু এই দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
|
পুরনো খবর: হাসিনা-খালেদার দুই প্রস্তাবে আশার আলো
|
|
|
 |
|
|