বিধানসভায় তাঁর আসন কেন বদল করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে স্পিকারের দ্বারস্থ হলেও সদুত্তর পেলেন না তৃণমূলের চৌরঙ্গির বিধায়ক শিখা মিত্র। স্পিকার তাঁকে পরিষ্কার বলেছেন, বিধানসভার কার আসন কোথায় হবে, তা ঠিক করার এক্তিয়ার স্পিকারেরই। ক্ষুব্ধ শিখাও পরে বলেছেন, এর পরে তিনিও তাঁর করণীয় নিজের মতো করে ঠিক করে নেবেন!
আসন বদলে কেন তাঁকে বিরোধী বেঞ্চের দিকে পাঠানো হল, তা জানতে চেয়ে দিনকয়েক আগে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন সোমেন-জায়া শিখা। বিধানসভায় এসে মঙ্গলবার নিজের আসনে না-গিয়ে সরাসরি স্পিকারের ঘরে গিয়ে দেখা করেন তিনি। সামান্য সাক্ষাতের পরে শিখা বলেন, “কেন আমার আসন বদল জানতে চাওয়ায় স্পিকার এক কথায় বললেন, কারণ উনি ব্যাখ্যা করবেন না। আসন বদলের এক্তিয়ারেই করেছেন। এ ব্যাপারে ওঁকে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না!” স্পিকার বিমানবাবুরও বক্তব্য, “বিধানসভায় কার কোথায় আসন হবে, তা নির্ধারণের এক্তিয়ার আমার। এ ব্যাপারে কাউকেই জবাব দেব না!”
তবে স্পিকারের জবাব না-পেয়ে তাঁর জন্য নির্ধারিত ১০৭ নম্বর আসনেই এর পর থেকে তিনি বসবেন কি না, তা-ও অবশ্য স্পষ্ট করেননি শিখা। তাঁর বক্তব্য, “আমি স্পিকারকে জানিয়েছি, এর পর আমি কী করব সেটাও আমি আমার মতো করেই স্থির করব!” তবে বিধায়ক-পদে তিনি ইস্তফা দেবেন না বলে ফের জানিয়েছেন তিনি। শিখার কথায়, “জনগণের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। দলের চেয়েও তাঁরাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ইস্তফার কোনও প্রশ্নই ওঠে না!” তবে শিখার অভিযোগ, “শাসক দলের উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আসন বদলের প্রস্তাব ছিল আমার আগে। কিন্তু তাঁদের স্থান বদল হয়নি। আমাকে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে সরিয়ে কংগ্রেস এবং এসইউসি-র পাশে আসন দেওয়া হল। বিরোধীদের সঙ্গে বসতে হবে অথচ দলের হুইপও মানতে হবে, এ কেমন নিয়ম?” তৃণমূলের মহাসচিব তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরে বলেন, “আসন বদলের জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় আমাকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠি স্পিকারকে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী স্থানবদল হয়েছে।” |