বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি অতিরিক্ত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সব চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় আর্থিক বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে। এ বার সেই সময়টা আসার আগেই রাজস্ব আদায়ের যে-গতি দেখা যাচ্ছে, তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবেই।”
অর্থমন্ত্রীর দাবি, রাজস্ব আদায়ের শতকরা হারেও গত আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গ অন্যান্য রাজ্যকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল। এ বার রাজস্ব আদায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
অমিতবাবু সামগ্রিক ভাবে রাজস্ব বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেও আবগারি রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির হার এ বার আশাব্যঞ্জক নয় বলে সরকারি সূত্রের খবর। গত বছরের তুলনায় এ বার বাড়তি ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিল আবগারি বিভাগ। কিন্তু আর্থিক বছরের সাত মাস কেটে যাওয়ার পরে অতিরিক্ত আদায় হয়েছে মাত্র ২৩৪ কোটি। আবগারি বিভাগের কর্তারা মনে করছেন, আগামী পাঁচ মাসে রাজস্ব খাতে ৩৭৬ কোটি টাকা বাড়তি রোজগার করা সহজ হবে না। কারণ, ইতিমধ্যেই পুজোর মরসুম কেটে গিয়েছে। সেই কারণে আরও বেশি পরিমাণে সরকারি মদ বিক্রি বাড়াতে নানা কৌশল নিতে হবে।
এ দিন সল্টলেকে জেলাশাসকদের এক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের আবগারি সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং কমিশনার স্মারকী মহাপাত্র। বেআইনি ও ভেজাল মদ বিক্রি ঠেকাতে জোরদার তল্লাশি ও ধরপাকড় চালাতে বলা হয়েছে জেলাশাসকদের। কর্তাদের যুক্তি, বেআইনি মদ বিক্রিতে বাধা এলেই সরকারি মদ বিক্রি বাড়বে। ফলে বৃদ্ধি পাবে রাজস্ব আদায়ও। একই সঙ্গে বিষমদে যাতে কারও মৃত্যু না-হয়, সে-দিকে নজর দিচ্ছে আবগারি দফতর। মগরাহাটের বিষমদ কাণ্ডের পরে অভিযান শুরু হয়েছিল। সেই অভিযান চালিয়ে যাওয়া হবে। আগেই অতিরিক্ত জেলাশাসকদের ডেকে চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বলা হয়েছিল। আবগারি সচিব এ দিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, সর্বত্র চোলাই-বিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে। |