নয়াচরের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গঠনে পরিবেশের ছাড়পত্র পেতে হলে রাজ্য সরকারকে আরও পাঁচটি শংসাপত্র আদায় করতে হবে। এমনই নির্দেশ কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটির।
মনমোহন-সরকার বড় মাপের পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে দ্রুত ছাড়পত্র দিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইলেও নয়াচরের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্রের অভাবেই। ১৩২০ মেগাওয়াটের ওই প্রকল্পে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে।
পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আজ ও কাল দিল্লিতে নিযুক্ত রাজ্যের রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবের সওয়াল শুনে বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান এ এস লাম্বা নতুন করে পাঁচটি শংসাপত্র নিয়ে আসার কথা বলেছেন। এক, নয়াচরের ওই প্রকল্প উপকূলীয় নিয়ন্ত্রণ এলাকা বা কোস্টাল রেগুলেশন জোনে পড়ছে না। দুই, এলাকার জল-জীবজগতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে না। তিন, দ্বীপ থেকে ছাই বা ফ্লাই অ্যাশ সরানো হবে। চার, পরিবেশ দূষণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে। পাঁচ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হলেও খাঁড়ির জলপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে। পুণের ‘সেন্ট্রাল ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্চ স্টেশন’, আইআইটি-রুরকির মতো প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পর্যালোচনা করিয়ে এই শংসাপত্র নিতে হবে। মূলত রাজ্য সরকারের বিশেষজ্ঞ কমিটির দাবি সঠিক কি না খতিয়ে দেখে নিজেদের বক্তব্য জানাবে সংস্থাগুলি। দু’মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রাজ্য সরকার তথা প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিভার্সাল সাকসেস গোষ্ঠীর কর্তাদের বক্তব্য, দু’মাস দেরি হলেও অন্তত পরিবেশ মন্ত্রক কী চায়, তা আজ জানা গেল।
|