টুকরো খবর
বাঘে টেনে নিয়ে গেল মৎস্যজীবীকে
সুন্দরবনের খালে মাছ-কাঁকড়া ধরার সময়ে এক মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গেল বাঘে। সোমবার সন্ধ্যায় গোসাবার পিরখালি-১ জঙ্গল লাগোয়া পিরখালি খালে ওই ঘটনা ঘটে। বছর পঁয়ত্রিশের নিখোঁজ ওই মৎস্যজীবীর নাম উজ্জ্বল মজুমদার। বাড়ি বাসন্তীর আমলামেথির সাতেরকোনা গ্রামে। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সকালে সাতেরকোনা থেকে আরও দু’জনের সঙ্গে উজ্জ্বল নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যান। সন্ধ্যায় জঙ্গল লাগোয়া খালে নৌকায় দাঁড়িয়ে তিনি জাল ফেলছিলেন। তাঁর সঙ্গীরা বন দফতরকে জানিয়েছেন, একটি বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে উজ্জ্বলের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মুখে করে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় জঙ্গলে। সঙ্গীরা চেষ্টা করেও বাঘের মুখ থেকে উজ্জ্বলকে উদ্ধার করতে পারেননি। মৎস্যজীবীদের সংগঠন ‘সুন্দরবন জন শ্রমজীবী মঞ্চ’-এর সম্পাদক পবিত্র মণ্ডল বলেন, “ওই তিন জনের কাছে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরার বৈধ কাগজপত্র ছিল। উজ্জ্বলকে যে বাঘে টেনে নিয়ে যাবে ভাবতে পারছি না।” সুন্দরন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সৌমিত্র দাশগুপ্ত বলেন, “এক মৎস্যজীবীকে বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে, লিখিত অভিযোগ পাইনি। ওই মৎস্যজীবী দলটি নির্দিষ্ট জলসীমার মধ্যে ছিল, না আরও ভিতরে ঢুকেছিল তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

পশু পালন নিয়ে আলোচনা
প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহ পালন করা হল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বনপুর পঞ্চায়েতের ন’পাড়া গ্রামে। মঙ্গলবার গ্রামের একটি খামারে আয়োজন করা হয় সচেতনতা শিবির। উপস্থিত ছিলেন ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ণ আধিকারিক তাপস ধারা, কালনা মহকুমা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক সলিল চট্টোপাধ্যায়, পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক-সহ অনেকে। কোন ধরণের পশুপালন লাভজনক এবং প্রাণীপালনে কী ধরণের সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত সেই নিয়ে আলোচনা হয় এ দিনের শিবিরে। এ ছাড়া এ দিন সঙ্কর গাভীর প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। ন’জন গ্রামবাসীকে প্রাণী পালনের জন্য পুরষ্কার দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, “গ্রাম বাংলার অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে প্রাণী পালনের উপর। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ দফতর সহযোগিতা চাইলে পঞ্চায়েত সমিতি এগিয়ে আসবে।” কালনা ১ ব্লক ও স্থানীয় বেগপুর পঞ্চায়েতের বারোয়ারী তলাতে পালন করা হয় প্রাণী সপ্তাহ বিকাশ সপ্তাহ। দুটি অনুষ্ঠানেই গ্রামের বহু গরু, হাস, মুরগীর বিনামূল্য টীকাকরণ করানো হয়।

সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু
রাস্তা তৈরির জন্য ঝোপঝাড় কাটার কাজ করতে গিয়ে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে এক খেতমজুরের। তাঁর নাম সন্ধ্যা মেটে (৩৫)। বাড়ি আউশগ্রামের সর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে নতুন রাস্তা তৈরির জন্য ঝোপঝাড় কাটার কাজ চলছিল। শনিবার সকালে সেখানেই সর্পদষ্ট হন সন্ধ্যাদেবী। আউশগ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। রবিবার সকালে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সেখানেই মারা যান তিনি।

পুরস্কার দান প্রাণিবন্ধুদের
জাতীয় প্রাণিবন্ধু সপ্তাহ পালিত হল মালবাজারে। মঙ্গলবার মালবাজারে রাজ্য প্রাণী স্বাস্থ্য বিকাশ বিভাগের জলপাইগুড়ি জেলা পর্যায়ের একটি অনুষ্ঠানটি হয়। গৃহপালিত প্রাণীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে একাধিক স্টলের মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়। পাঁট লিটারের বেশি দুধ দেওয়া গরুর ক্ষেত্রে বিশেষ বিমা প্রকল্প সম্পর্কেও প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে পোষ্য কুকুর ও গরুদের নিয়ে প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা হয়। সফল ভাবে কৃত্রিম গো প্রজনন করানোয় প্রাণিবন্ধুদেরও পুরস্কৃত করা হয়।

গুঁতোয় জখম ১৫
মোষের গুঁতোয় জখম হলেন পনেরো জন। মঙ্গলবার বেলডাঙার পশু হাটের ঘটনা। জখমদের প্রথমে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন হাটে একটি মোষ হঠাৎ খেপে গিয়ে কয়েকজনকে গুঁতিয়ে দেওয়ায় এই দুর্ঘটনা।

চিতাবাঘের হামলায় জখম ১১ গ্রামবাসী
এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর আক্রমণে জখম হয়েছেন ভারতের ১১ জন গ্রামবাসী। তবে অনুপ্রবেশকারীকে ধরা যায়নি। পুলিশ, বিএসএফ আর বনরক্ষীরা বিস্তর তল্লাশি চালিয়েও হানাদারকে ধরতে পারেনি। মনে করা হচ্ছে, হামলার পরে সে বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। আপাতত অনুুপ্রবেশকারীর ভয়ে তটস্থ সীমান্তরক্ষীরাও! উল্লেখ করা প্রয়োজন, এই হানাদার কোনও মানুষ নয়, সে একটি চিতাবাঘ! করিমগঞ্জ সদর বনবিভাগের রেঞ্জার এস ইউ বড়ভুঁইয়া জানান, রবিবার রাতে ওপারের জঙ্গল থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে সে ভারতীয় সীমায় ঢুকে আসে। সীমান্তবর্তী সুতারকান্দি ও কুড়িখলা গ্রামে হানা দেয় চিতাবাঘটি। আব্দুল সাহাদের স্ত্রী মানোয়ারা বেগম চৌধুরী প্রথম তার সামনে পড়েন। রাতে নিজের ঘর থেকে বের হতেই চিতাবাঘ তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গুরুতর জখম হন মানোয়ারাদেবী। এর পর গত কালও গ্রামবাসীরা চিতাবাঘটিকে পাকড়াও করতে বিস্তর চেষ্টা চালান। সেই সময় চিতাবাঘের থাবায় আরও ১০ জন জখম হন। বনবিভাগ, পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী চিতাবাঘটিকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বনকর্তাদের মতে, চিতাবাঘটি সম্ভবত বাংলাদেশে ফিরে গিয়েছে। বিএসএফ অবশ্য এখনও সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছে।

গন্ডারের গুঁতো
গন্ডারের গুঁতোয় জখম হলেন এক বনরক্ষী। ঘটনাটি ঘটেছে কাজিরাঙার কোহরা রেঞ্জের শোলমারি বন শিবিরের কাছে। রেঞ্জার মুকুল তামুলি জানান, ভায়া বাউরি নামে এক মাহুত জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়া একটি গন্ডারকে জঙ্গলে ফিরিয়ে আনতে গিয়েছিলেন। তখনই গন্ডারটি তাঁকে ধাওয়া করে গুঁতিয়ে দেয়। সঙ্গী বনরক্ষীরা গুলি চালালে গন্ডারটি পালায়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.