ক্যামেরনের সফরের জেরে ব্রিটিশ লগ্নির আশা রাজ্যে
ডেভিড ক্যামেরনের সাম্প্রতিক কলকাতা সফর ব্রিটেনের শিল্পসংস্থাগুলিকে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করতে উৎসাহ দেবে বলে আশা প্রকাশ করলেন পূর্ব ভারতের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনার স্কট ফার্সেডন উড। তাঁর কথায়, “ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ব্রিটিশ শিল্প সংস্থাগুলি এটা দেখেছে। এই সুযোগ কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটা তারা নিশ্চয়ই ভাবছে।”
মঙ্গলবার শহরের একটি হোটেলে ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উড ওই কথা বলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মমতা-ক্যামেরন বৈঠকের পর এই রাজ্যে ব্রিটিশ লগ্নি আসার সম্ভাবনা কতটা? উড বলেন, “এই ঘটনা তো পারস্পরিক সহযোগিতা ও গাঁটছড়া বাঁধার স্পষ্ট ইঙ্গিত।”
গত ১৪ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কলকাতায় ঘুরে যান ক্যামেরন। ওই দিন সন্ধ্যায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনে মমতার সঙ্গে তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা বৈঠক করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে তিনি খুশি হয়েছেন বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন আইআইএম জোকার একটি অনুষ্ঠানে ক্যামেরন ঠারেঠোরে এ-ও জানিয়ে দেন যে, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে তিনি আগ্রহী। সেখানে পারস্পরিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে পরিকাঠামো, শিক্ষা ও বিমাশিল্পকে চিহ্নিত করেছিলেন ক্যামেরন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ক্যামেরনের সেই কথার দিন কয়েক পরেই এ দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিটেনের লিড্স বিশ্বদ্যিালয়ের করা একটি যৌথ সমীক্ষা-রিপোর্ট এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন উড। দূষণ কমিয়ে কলকাতাকে পরিবেশ বান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে ওই সমীক্ষা করেছেন দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। উড বলেন, “নতুন, ঝকঝকে, পরিবেশ বান্ধব শহর ও স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শিল্পসংস্থাগুলির অনন্য অভিজ্ঞতা ও বিশ্বব্যাপী সুনাম রয়েছে। ওই দক্ষতা ভাগ করে নিতে আমরা ভারতের কয়েকটি রাজ্যের প্রশাসনের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছি। যাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রয়েছে।”
কলকাতা সফরে এসে ক্যামেরন বলেছিলেন, “এই শহর বাড়ছে। তার জন্য প্রয়োজন পরিকাঠামো উন্নয়ন। জলপথ সংস্কার-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে আমাদের দক্ষতা রয়েছে।” মমতাও ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠকে ইংরেজ আমলে নির্মিত সমস্ত ঐতিহ্যবাহী বাড়ি এবং গঙ্গার দু’পাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজে ব্রিটিশ সরকারের সহায়তা চেয়েছিলেন।
ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনারের কথায়, “১৬ বছর পর এক জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় এলেন। এর থেকেই বোঝা যায়, ব্রিটিশ সরকার কলকাতার মতো শহরগুলির মধ্যে কতটা সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে এবং সেই অনুযায়ী কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।” তিনি জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের শক্তি ও আবহাওয়া পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী গ্রেগ বেকারকেও কলকাতায় সঙ্গে করে এনেছিলেন। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেন বেকার। দূষণমুক্ত করে কলকাতাকে পরিবেশ বান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তোলার দিশা দেখাতেই ওই মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.