রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আব্দুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন বাংলাদেশের বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া। আলোচনা শুরুর জন্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, বিএনপি ও তার শরিকরা তাতে যোগ দিচ্ছেন না বলেও রাষ্ট্রপতিকে জানিয়ে এসেছেন খালেদা। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এর পরেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে, খালেদা শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দেবেন। যোগযোগ মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের বলেছেন, সরকারে যোগ দিলে এক ডজন মন্ত্রিত্ব পাবে বিএনপি।
এ দিন দল ও শরিকদের ১৯ জন নেতাকে নিয়ে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে যান খালেদা। বিএনপি-জামাতে ইসলামি জোটের পক্ষে একটি চিঠি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, একতরফা ভাবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সঙ্কট মেটানোর পথ বন্ধ করে দিতে চাইছে সরকার। বিএনপি-র নেতৃত্বাধীন জোট একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি যেন তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা ব্যবহার করে দু’পক্ষকে আলোচনায় বসানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগী হন। চিঠিতে একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী যে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, তাকে শাসক দলের সরকার ও পক্ষপাতদুষ্ট বলেই মনে করছে বিএনপি-জামাত জোট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবুদ্দিন আহমেদ অন্য কমিশনারদের নিয়ে এ দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতিকে তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে তাঁরা তৈরি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরে জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করাতে তাঁরা প্রস্তুত।
|