সাফ কাপের বদলা কি ঘরের মাঠে তুলতে পারবে ভারত? সুনীল ছেত্রী কি ভাইচুং ভুটিয়াকে টপকাতে পারবেন? আজ মঙ্গলবার এই দু’টো উত্তরের খোঁজেই জমজমাট শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম।
সাফ কাপে নেপালের কাছে হারের পর এ বার ঘরের মাঠে বদলা নেওয়ার পালা সুনীল ছেত্রী, মেহেতাবদের। ফিফা নির্ধারিত প্রদর্শনী ম্যাচে আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নেপালের মুখোমুখি উইম কোভারম্যান্সের ভারত। প্রদর্শনী ম্যাচ হলেও এই ম্যাচ জিততে পারলে শেষ বার নেপালের কাছে হারের জবাব দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন ফুটবলাররা। জাতীয় কোচ কোভারম্যান্স অবশ্য বললেন, “প্রতিশোধের ম্যাচ কি না বলতে পারব না। তবে আমরা জিততে চাই।” কোভারম্যান্স জানান, সাফে নেপালের কাছে হারলেও, তার আগে নেহরু কাপে নেপালের সঙ্গে ড্র করেছে ভারত। ফ্রান্সিস ফার্নান্ডেজদের কোচ বলছিলেন, “ফুটবলাররা গোলের সুযোগ তৈরি করছে। ফিলিপিন্স ম্যাচেও সেটা স্পষ্ট হয়েছে। তবে সেই সুযোগগুলি এ বার সুনীল, ক্লিফোর্ডদের কাজে লাগাতে হবে।”
মঙ্গলবারের নেপাল ম্যাচে উৎসাহ তুঙ্গে সুনীল ছেত্রীকে নিয়েও। আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়ার ৪২ গোল ইতিমধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছেন সুনীল। এই ম্যাচে গোল পেলেই পাহাড়ি বিছেকে টপকে যাবেন বর্তমান ভারত অধিনায়ক। সুনীলের সাফল্য নিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বয়ং ভাইচুংও। এ দিন সন্ধ্যায় জাতীয় দলের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন ভাইচুং। মঙ্গলবার গ্যালারিতেও থাকবেন। সুনীল বলছিলেন, “ভাইচুয়ের গোলের রেকর্ড টপকাতে পারব কী পারব না, তা নিয়ে কখনও ভাবিনি। আমার কাছে ওটা একটা সংখ্যা মাত্র। আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফিলিপিন্স ম্যাচের গোল।”
দলের নতুন ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি কোভারম্যান্স। ফিলিপিন্সের বিরুদ্ধে আইবর অভিষেক ম্যাচে ভাল খেলায় সুনীলরা হোটেলে কেকও কেটেছেন। তবে মঙ্গলবারের ম্যাচে দলে কিছু পরিবর্তন করতে পারেন ডাচ কোচ। উল্টো দিকে, সাফ কাপে নেপালের হয়ে খেলা ৩ জন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার রোহিত চাঁদ, বিমল ঘরতি মগর এবং ভরত খাওয়াস থাকছেন না। রোহিত ডেনমার্কে, বিমল নেদারল্যান্ডসে ও ভরত খাওয়াস সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে। দলের তিন মিডিওর অনুপস্থিতিতে নেপালের দুই স্ট্রাইকার অনিল গুরুঙ্গ এবং মুজানু রাইরা কতটা সফল হতে পারেন, সেটাই দেখার। নেপাল কোচ জ্যাক স্টিভ্যেনস্কি বললেন, “তিন জন ফুটবলার খেলতে না পারলে একটু সমস্যা তো হবেই। তবে ওদের বদলি দীপক, জিতেন্দ্রও ভাল ফর্মে আছে।” সাফ কাপে গ্রুপ লিগের ম্যাচে অনিল এবং মিজানুর একটি করে গোল করেছিলেন। অনিল বলছিলেন, “মিজানুরের সঙ্গে সাত-আট বছর ধরে খেলছি। বোঝাপড়ার কোনও সমস্যা নেই। ম্যাচটা আমরাই জিতব।”
ফিলিপিন্স ম্যাচে ১২ হাজারের মতো দর্শক হাজির ছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশা করছেন স্টেডিয়াম কমিটির কর্মকর্তারা। ভারতীয় ফুটবল দলের অন্যতম সদস্য লেনি রডরিগেজ বললেন, “দর্শকের সমর্থন অবশ্যই বড় ব্যাপার। ঘরের মাঠে আমরা সেই সমর্থন ভাল রকমই পাব বলে আশা করছি। সে কারণে ম্যাচ জেতাটাই আমাদের এখন সব চেয়ে বড় লক্ষ্য।” |