জাতীয় দলের জার্সি গায়ে গোলসংখ্যায় ভাইচুং ভুটিয়াকে ছুয়ে ফেললেন ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ভাইচুংয়ের চেয়ে আঠাশ ম্যাচ কম খেলেই। ৭৯ ম্যাচে তাঁর গোল এখন ৪২। গোলের জন্য সুনীলের মরিয়া মনোভাব দেখে খুশি কোচ কোভারম্যান্সও। সুনীলের প্রতি তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, “মোটেও অবাক হচ্ছি না। সুনীল পরের ম্যাচেও গোল করবে।”
সুনীল দুরন্ত ফর্মে থাকলেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়ে গিয়েও ফিলিপিন্সের বিরুদ্ধে কিন্তু জিতে ফেরা হল না উইম কোভারম্যান্সের দলের। সুব্রত পাল, গৌরমাঙ্গি সিংহ, রহিম নবি-সহ জাতীয় দলের তারকাদের বাদ দিয়ে নতুন দল গড়েছেন কোভারম্যান্স। এ দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ডাচ কোচের সেই ‘নতুন ভারত’ কিন্তু ফিলিপিন্সকে চেপে ধরেছিল শুরু থেকেই। তাঁদের দেশে আছড়ে পড়া সাইক্লোন হাইয়ানের মতোই ফিলিপিনো রক্ষণে প্রথমার্ধে আছড়ে পড়ছিল একের পর এক ভারতীয় আক্রমণ।
|
শিলিগুড়িতে সুনীল ছেত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
এই সময়েই মেহতাবের কর্নার থেকে হেডে ভারত অধিনায়কের দর্শনীয় গোল। কিন্তু পরের মিনিটেই গোল করে সমতা ফেরান ইয়ংহাসব্যান্ড। গোল শোধ করেই দ্বিতীয়ার্ধে প্রতি-আক্রমণে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নেয় ফিলিপিন্স। তবে ভারতীয় রক্ষণের দাপটে সেই আক্রমণ বিপদে ফেলেনি। কোভারম্যান্সের রক্ষণে এ দিন নজর কাড়লেন জাতীয় দলের হয়ে প্রথম খেলতে নামা মোহনবাগান স্টপার আইবর। শেষ দিকে ডেঞ্জিল ফ্রাঙ্কোর ক্রস থেকে জেজের হেড গোলে থাকলে ম্যাচ জিতেই ফিরতেন সুনীলরা।
ম্যাচের পর কোভারম্যান্স বলেও গেলেন, “জেজের গোলটা অল্পের জন্য হল না। না হলে জিতেই ফিরতাম। দলে অনেক নতুন মুখ। তাঁদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।”
আর ভাইচুংকে ছুয়ে ফেলে সুনীলের আফশোস, “ভাইচুংকে স্পর্শ করার রেকর্ড একটা সংখ্যা মাত্র। জাতীয় দলের হয়ে গোল করে জেতানোটাই আমার কাজ।” ভারতের পরবর্তী ফ্রেন্ডলি আগামী মঙ্গলবার। প্রতিপক্ষ নেপাল। |