ধুলো ওড়ার অভিযোগ, বন্ধ মিনিবাস
রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে দিন চারেক আগে। সেখান দিয়ে মিনিবাস যাতায়াত করলে ধুলোর ঝড় উঠছে, এই অভিযোগে মিনিবাস চলাচলে বাধা দিয়েছেন কিছু বাসিন্দা। ফলে, সেই রাস্তায় মিনিবাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দুর্গাপুরের বেশ কিছু যাত্রী। ঘুরপথে বেশি সময় ও বেশি ভাড়া ব্যয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
এক দিকে দুর্গাপুর স্টেশন থেকে জাতীয় সড়কের ডিভিসি মোড়গামী রাস্তা। প্রায় সমান্তরালে স্টেশন থেকে মুচিপাড়াগামী রাস্তা। দুই রাস্তার সংযোগকারী প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি পিসিবিএল মোড় থেকে বেরিয়ে বাজার মোড়ে গিয়ে মিশেছে। সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরেই তা বেহাল। ফলে, মিনিবাস চলাচলে অসুবিধা হয়। রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি কারখানা রয়েছে। বেহাল রাস্তার জন্য ভুগছে সেগুলিও। দুর্গাপুর স্টেশন থেকে মুচিপাড়া হয়ে বিধাননগর যাওয়ার রুটও কড়ঙ্গপাড়া গ্রাম দিয়ে যাওয়া এই রাস্তাটি।
পিসিবিএল মোড় থেকে এএসবি মোড় যাওয়ার রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
এমনিতে মিনিট দশেক ছাড়া এই রাস্তায় বাস চলার কথা। কিন্তু খারাপ রাস্তায় মিনিবাসের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হওয়ায় বেশ কিছুদিন পরিষেবা বন্ধ করে দেন বাস মালিকেরা। আলাপ-আলোচনায় সমস্যা মিটলে মিনিবাস চলাচল শুরু হয়। পরে রাস্তা সারানোর উদ্যোগী হয় পুরসভা। সম্প্রতি সে কাজ শুরু হয়েছে। পাশ দিয়ে চলছিল মিনিবাসও। কিন্তু রাস্তা সারাইয়ের জন্য দেওয়া পাথরের গুঁড়ো বাতাসে উড়ে আশপাশের বাড়ি, দোকানে ঢুকে যাচ্ছে, এই অভিযোগে মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ রাখার দাবি তুলেছেন কিছু বাসিন্দা। তা না হলে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
এর ফলে এখন মিনিবাসগুলি মুচিপাড়া থেকে স্টেশন রোড ধরে রেল-সড়ক সেতুর উপর দিয়ে বেশ কিছুটা ঘুরে স্টেশনে পৌঁছচ্ছে। এর ফলে মুচিপাড়ার দিক থেকে ডিপিএল কলোনি, গ্যামন ব্রিজ, গ্যারাজ মোড় ইত্যাদি এলাকায় যেতে চাওয়া যাত্রীদের দু’টি বাস ধরতে হচ্ছে। ফলে, সময় ও ভাড়া দুই-ই বেশি লাগছে বলে তাঁদের অভিযোগ। একই সমস্যা এই সমস্ত এলাকা থেকে মুচিপাড়া বা বিধাননগরে যেতে চাওয়া যাত্রীদেরও। তবে যত দিন রাস্তা সারাই সম্পূর্ণ না হবে, এই সমস্যা চলবে বলে জানিয়েছে মিনিবাস মালিকদের সংগঠন। ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষে কাজল দে জানান, বাসিন্দাদের দাবি মেনে আপাতত ওই রাস্তায় মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ রাখায় অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হচ্ছে। লোকসানও হচ্ছে। তিনি বলেন, “কিন্তু কিছু করার নেই। বাসিন্দাদের অসুবিধার দিকটিও দেখতে হচ্ছে আমাদের।” কাজ শেষ হতে আরও দিন দশেক লাগবে বলে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে আনন্দকৃষ্ণ দে জানান।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.