|
|
|
|
শীঘ্রই চেটিয়াকে হাতে পাবে নয়াদিল্লি, জানাল বাংলাদেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
বাংলাদেশে বন্দি আলফা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ সরকার। আজ আগরতলায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগির সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে বন্দি-প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ধৃত আলফা জঙ্গি অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে সরকার।’’ আজ ত্রিপুরার আখাউড়া সীমান্তে স্থল-বন্দর তথা একটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দের পাশে হাজির ছিলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও।
দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাতের প্রেক্ষিতে দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ চেটিয়ার প্রত্যাপর্ণের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সে দেশের দুই কুখ্যাত অপরাধী, সুব্রত বায়েন ও সাজ্জাদ হোসেনকেও হাতে চায়। এই দু’জনই এখন ভারতীয় জেলে বন্দি। আওয়ামি লিগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে এরা বহু মানুষকে হত্যা করে। সেই অপরাধে বাংলাদেশের আদলত তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২০০৮ সালে ২৩ জন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর যে তালিকা বাংলাদেশ ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল তাতেও সুব্রত বায়েন ও সাজ্জাদ হোসেনের নাম রয়েছে। মন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘সোয়াপ ডিল’-এই এ বছরের শেষে চেটিয়া ও বায়েন-হোসেনের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। উল্লেখ্য, গত বছর নেপালের জেল থেকে পালিয়ে আসা সুব্রত বায়েন কলকাতায় ধরা পড়ে। |
আগরতলার আখাউড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টের
উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে। ছিলেন বাংলাদেশের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগির। রবিবার বাপি রায়চৌধুরীর তোলা ছবি। |
এরই পাশাপাশি, মুজিব-হত্যায় জড়িতদের যারা ভারতে রয়েছে তাদের খুঁজে বের করার ব্যাপারেও ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আশ্বস্ত করেছে। তবে এ ব্যাপারে দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোনও কথা না বললেও, আলমগির বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে ভারত-বিরোধী কোনও কাজকর্ম বাংলাদেশ সরকার বরদাস্ত করবে না। পাশাপাশি, আমরাও আশা করব, বাংলাদেশের স্বার্থ-বিরোধী কোনও কাজ এ দেশের মাটিতে হবে না।”
এ দিকে, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের স্থল-বন্দর তথা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট তৈরির ক্ষেত্রে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে, পঞ্জাবের আটারিতে ২০১২ সালে দেশের প্রথম আইসিপি তৈরি হয়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ত্রিপুরার আখাউড়ার আইসিপি-টি দ্বিতীয়। কেন্দ্রীয় সরকার আরও ১১টি আইসিপি তৈরি করবে বলে শিন্দে জানান। ভারত-বাংলাদেশ, ভারত-নেপাল এবং ভারত-মায়ানমার সীমান্তে এগুলি তৈরি হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল সীমান্তেও আইসিপি তৈরির কাজ চলছে।
শিন্দে বলেন, ‘‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আখাউড়া আইসিপি অনুঘটকের কাজ করবে। পাশপাশি, শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়াবে।’’ আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার পঙ্কজ সারন, ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার তারিক এ করিম, ত্রিপুরার শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরী। |
পুরনো খবর: চেটিয়াকে প্রত্যর্পণ, বাংলাদেশের শর্তে ক্ষুব্ধ আলফার খোলা চিঠি |
|
|
|
|
|