বাসের ধাক্কায় ছাত্রীর মৃত্যুর পরে কলেজে ভাঙচুর চালাল জনতা।
শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ মালদহের কালিয়াচক কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তোসিফা সুলতানকে (২১) কলেজ লাগোয়া জাতীয় সড়কে একটি পিষে দেয়। গুরুতর জখম ছাত্রীকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সেখান থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও তাঁর কিছুক্ষণ পরেই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়েও কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি এই অভিযোগ তুলে কলেজের ভেতরে তাণ্ডব চালায় একাংশ ছাত্র। লাঠি, লোহার রড নিয়ে কলেজের অন্তত ৭টি ক্লাসঘরের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা ছাড়াও অফিস ঘরের চেয়ার, আলমারিতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে অফিসঘর থাকা মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ডও। অধ্যক্ষের গাড়িতেও অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
কলেজের তরফে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ্য করা হয়নি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিজয়া মিশ্র বলেন, “খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম। সে সময় ৩০-৪০ জন স্থানীয় যুবক কলেজে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যারা কলেজে হামলা করেছে তাদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।” রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ওই কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতে এসএফআই চক্রান্ত করছে। ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। কিন্তু কলেজের ভাঙচুর করার কী যুক্তি থাকতে পারে?” দুর্ঘটনার পর এসএফআই ঘণ্টাখানেক জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। এসএফআইয়ের তরফে অবশ্য অবরোধের কথা স্বীকার করা হলেও, ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। |