বাপেরবাড়ি থেকে দাবি মতো টাকা না মেলায় দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় দুই বধূকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে এক জনকে মেরে ঘরেই পুঁতে দেওয়া হয়।
শনিবার ভোরে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ভালুকা গ্রামে ঘরের মাটি খুঁড়ে পুলিশ এক বধূর দেহ উদ্ধার করে। তাঁর নাম মিতা মাকুড় (২৪)। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সুরতহাল করেন বিষ্ণুপুরের বিডিও প্রশান্তকুমার মাহাতো। তিনি বলেন, “বধূটির ঘাড়ের পিছন থেকে কান পর্যন্ত কোপ মারা হয়েছে।” নিহত বধূর বাবা পুলিশের কাছে জামাই মনসা মাকুড়-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। একটি ভুঁইফোঁড় লগ্নি সংস্থার এজেন্ট মনসা তাঁর দেড় বছরের ছেলে, মা ও বাবা-সহ আত্মীয়দের নিয়ে পালিয়েছে।
অন্য দিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার মুখার্জিপাড়ায় শুক্রবার রাতে অণিমা দাস (৩০) নামের এক বধূকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁর দেহে অনেকগুলি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে। বাপের বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে জামাই দুলাল দাসের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযুক্তও পলাতক। বিষ্ণুপুরে নিহত মিতাদেবীর বাবা মহাদেব ঘোষ জানান, বছর তিনেক আগে মনসার সঙ্গে তিনি মেয়ের বিয়ে দেন। কিন্তু সারদা-কাণ্ডের পরে মনসা যে লগ্নি সংস্থার এজেন্ট ছিল, তা মুখ থুবড়ে পড়ে। তখন জামাইকে তিনি দফায় দফায় কয়েক হাজার টাকা দেন। তাঁর অভিযোগ, “এ বার জামাই আলু চাষ ও বাড়ি তৈরির জন্য দু’লক্ষ টাকা চেয়েছিল। তা দিতে না পারায় সে যে মেয়েটাকে খুন করে ফেলবে ভাবতে পারিনি।” মনসা ছাড়াও, তার মা সুমিত্রা, বাবা অবোধ, কাকা গণপতি, জ্যাঠা ক্ষুদিরাম, জাঠতুতো ভাই নিমাই ও পিসেমশাই লক্ষ্মীকান্ত কাপড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মহাদেববাবু। এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) পরাগ ঘোষ বলেন, “অভিযুক্তরা পলাতক। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কুড়ুল ও শাবল উদ্ধার হয়েছে।” |