যশ চোপড়া, করণ জোহরদের ফিল্মি রোমান্সে যা হয়ে থাকে এ যেন হুবহু সেই ছবি! সচিন তেন্ডুলকরের ভারতরত্ন প্রাপ্তির খবর স্ত্রী অঞ্জলি যে শুনলেন অনেকটা সে ভাবেই!
ওয়াংখেড়ের পাঠ চুকে যাওয়ার পর টিম বাস যখন হোটেলে ফিরছে তখনই স্থানীয় মহলে রটে গিয়েছিল খবরটা রাহুল গাঁধী গিয়েছেন সচিনের ঘরে। শুরু হয়ে যায় জল্পনা। সচিনের দেশজোড়া জনপ্রিয়তা কি কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস? সচিন তেন্ডুলকর কি এ বার কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন? এই গুঞ্জনের মাঝেই হঠাৎ ভেসে আরও একটা খবর—সচিন তেন্ডুলকর ভারতরত্ন।
কিন্তু স্বয়ং সচিন খবরটা পেলেন কখন? ফের সূত্রপাত একের পর এক জল্পনার। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, ম্যাচের পর রাহুল যখন গিয়েছিলেন সচিনের ঘরে সেখানেই খবরটা নাকি তিনি বেসরকারি ভাবে দিয়ে আসেন লিটল মাস্টারকে। পরে জানা যায় খবরটা ঠিক নয়। রাহুল আদৌ যাননি সচিনের ঘরে। সচিন তাঁর ‘ভারতরত্ন’ হওয়ার খবরটা পান সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রাজীব শুক্লর কাছ থেকে। মাঠ থেকে ফিরে লাঞ্চ টেবিলে তখন সস্ত্রীক মুম্বই টেস্টের ম্যান অব দ্য ম্যাচ প্রজ্ঞান ওঝার সঙ্গে সচিন-অঞ্জলি। সদ্য খেতে বসেছেন।
সেল ফোনের স্ক্রিনে রাজীব শুক্লর নম্বর দেখেই কথা বলতে পাশের ঘরে চলে যান সচিন। কথা সেরে ফের লাঞ্চ টেবিলে যখন আসেন তখন অঞ্জলির মোবাইলও বাজছে। ফোন করেছেন অন্য কেউ। সচিন অঞ্জলিকে কলটি নিতে নিষেধ করেন। স্ত্রীকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে বলেন, “ফোনটা এখন নিও না। ঠাকুরের পা-টা আগে স্পর্শ করো। একটা কথা আছে।”
হতচকিত অঞ্জলি কী হতে চলেছে বুঝতে না পেরে এগিয়ে যান গণপতির মূর্তির কাছে। সিদ্ধিদাতার পা অঞ্জলি ধরতেই সচিন তাঁকে বলেন, “তোমার স্বামী আজ থেকে ভারতরত্ন।” শুনেই সচিনকে জড়িয়ে ধরেন বাকরুদ্ধ অঞ্জলি। অভিনন্দন জানান সারাদিনের আরও একটা মুহূর্তকে সংযোজন করে। |