|
|
|
|
বিদায় সচিন, বিদায় মহান ক্রিকেট সভ্যতা, বিদায় রঙিন জানলাগুলো
গৌতম ভট্টাচার্য • মুম্বই |
আবেগের এত ঘূর্ণি পিচে ব্যাট-প্যাড জড়ো করেও কত ক্ষণ ‘উইকেট’ পড়া আটকাতে পারেন, তখন সবার অনন্ত কৌতূহল!
টিমমেটরা গার্ড অব অনার দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার সময়? পড়েনি।
স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে পুরস্কার বিতরণে যোগ দেওয়ার সময়? পড়েনি।
মর্মস্পর্শী ওই লম্বা বক্তৃতা দেওয়ার সময়? পড়েনি।
সহ-খেলোয়াড়দের কাঁধে উঠে তেরঙা ঝান্ডা নিয়ে গোটা মাঠ ল্যাপ দেওয়ার সময়? পড়েনি।
পড়ে গেল উনত্রিশ বছরের সাধনার কাছে একা পৌঁছতেই! ক্রিকেট ব্যাট ছিল সচিন রমেশ তেন্ডুলকরের স্বপ্নের মাস্তুল। আর বাইশ গজ সেই স্বপ্নকে মর্যাদা দেওয়ার তীর্থক্ষেত্র। ভারতীয় ক্রিকেট শুধু নয়, ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসেও সব চেয়ে গভীর ব্যক্তিগত মুহূর্ত তৈরি হল তখনই। জনতার মাঝে যখন ওয়াংখেড়ে উইকেটে প্রণাম করে সেই প্রসাদ বুকে ছুঁলেন সচিন। মাঠে এত ক্ষণ এত ভিড়, গুঁতোগুঁতি, পুলিশ, ফটোগ্রাফার, সহ-খেলোয়াড়। ঠিক ওই মুহূর্তে যেন ওপর থেকে কোনও কোরিওগ্রাফার সবাইকে সরিয়ে দিলেন: যাও ওদের একটু একলা কাটাতে দাও।
স্রষ্টা এবং তার সৃষ্টি নিরিবিলিতে চূড়ান্ত মুখোমুখি। |
|
বিদায় ক্রিকেট। ওয়াংখেড়ে ছাড়ার মুহূর্তে। ছবি: পিটিআই। |
আবেগ আর কৃতজ্ঞতার ঝোড়ো হাওয়ায় ব্যাট-প্যাডের মাস্তুল কোথায় কোথায় উড়ে পড়ল! তেন্ডুলকরের চোখ থেকে তখনই প্রথম জল গড়ানো শুরু। সহ-খেলোয়াড়রা ম্যাচের আগে যে বিশেষ কাউন্টি ক্যাপ তুলে দিয়েছে, ওটা পরে থাকলে জলটা সোজা টিভি ক্যামেরাম্যান পেয়ে যায়। কিন্তু সচিনের মাথায় তো ফ্লপি পানামা ক্যাপ। নীচটা অনেকটা ঢাকা যায়। আর যতই রিটায়ার করুন তিনি তো সচিন! প্রকাশ্যে ভেঙে পড়বেন না পণ করে মাঠে নেমেছেন। মাথা নিচু করে টুপির কোণাটা দিয়ে চোখ ঢাকতে ঢাকতে ড্রেসিংরুমে ঢুকে গেলেন। কী অনবদ্য সেই সময়ের স্বতঃস্ফূর্ত মুহূর্তগুলো! পৃথিবীসেরা ডিজাইনারও যা তৈরি করতে পারবে না।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির কথাটা মনে পড়ছিল বারবার। “যত দেখি অবাক হয়ে ভাবি, ক্রিকেট যদি ধর্ম হয়, সচিন সব চেয়ে বড় ধার্মিক। ক্রিকেট যদি হন রাম, সচিন হল হনুমান।” আর সবাই ব্যাট ড্রেসিংরুমে রেখে যায়। যেমন স্বাভাবিক ভাবে হয়তো এক জন আইপিএস অফিসার তাঁর ইউনিফর্ম সপ্তাহের বেশির ভাগ দিন অফিসে রেখে যান। আধুনিক নব্বই ওভার ক্রিকেটের যুগে পোস্ট ম্যাচ কুলিং ডাউন ট্রেনিং শেষে ক্রিকেটারদের হোটেলে পৌঁছতে পৌঁছতেই সন্ধে সাতটা বেজে যায়। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই তো ফিরে আসা মাঠে। ব্যাট দিয়ে কী হবে ওই ক’ঘণ্টায়?
অথচ এই ওয়াংখেড়ের অবসরের মুখে দাঁড়ানো সচিনও প্রতিদিন ব্যাট হোটেলে নিয়ে গিয়েছেন আর এনেছেন। ব্যাটগুলো যে ঘরে গণপতির পায়ে দেওয়া থাকত! আর ঘুম না হলে রাত্তিরে উঠে ওটা দিয়ে শ্যাডো করা রয়েছে যে। মহাভারতের অর্জুন তাঁর গুরুকে বলেছিলেন, তিনি পাখির চোখ দেখছেন। কত ক্ষণের জন্য, তার মেয়াদ ব্যাসদেব লিখে যাননি। সচিন রক্তমাংসের। ভারতীয় ক্রিকেটের সর্ব কালের সব চেয়ে সাড়া জাগানো বক্তৃতায় যিনি প্রমাণ দিলেন, টানা চব্বিশ বছর পাখির চোখই দেখছিলেন। নইলে এই পারফরম্যান্স শুধু নয়, আজকের বক্তৃতাও হয় না!
তাজমহল প্যালেস হোটেলে তাঁকে বিকেলে ধরার চেষ্টায় লবিতে পৌঁছে শুনলাম, ওপরে এসআরটি-র ঘরে নাকি রাহুল গাঁধী। এখন ঢোকা যাবে না। এর পরেই একটা হাল্কা ভিড় হুড়মুড়িয়ে আসছে।
নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটছেন সামলাতে। এত মৃদু ভিড় অথচ এত টিভি ক্যামেরা মানে সেলিব্রিটি তো নিশ্চয়ই। তবে সচিন নন। তারকার মুখটা দূর থেকে এ বার দেখা গেল। শ্রীসন্ত! টিম হোটেলেই উঠেছেন। কাল আইপিএল তদন্ত কমিশনের সামনে সাক্ষ্যদান ছিল যে।
মাথা নিচু করে শ্রীসন্তের বার হয়ে যাওয়া দেখে মনে পড়ল, আট বছর আগে মাঠকে প্রণাম করে তবেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামতেন। আজ কৃষ্ণবর্ণ লোভ আর শর্টকাট প্রাপ্তির নেশা তাঁকে যে উপত্যকায় নিয়ে ফেলেছে, ঠিক তার বিপরীতমুখী দেশেই তো সচিনের বাস। যে ক্রিকেট-সভ্যতার রং দুধসাদা। উচ্চাকাঙ্ক্ষার দুটো ভিন্নপথগামী মুখের একই সঙ্গে টিম হোটেলে সহাবস্থান। এটাও যেন ওপর থেকে অদৃশ্য কোরিওগ্রাফি যে, জুনিয়ররা তোমরা দ্যাখো, একটা সহজ রাস্তা অথচ ধ্বংসের। একটা খুব দুর্গম অথচ শেষে আজকের মতো মনভোলানো দুপুরের।
শুনলাম ক’দিন আগে বিরাট কোহলি-কে একান্তে নিজের ঘরে ডেকেছিলেন সচিন। আন্দাজ করতে পারি তাঁর পরম্পরা রক্ষার দায়িত্বই হয়তো দিচ্ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন পোস্টার বয়কে!
তোমার হল শুরু
আমার হল সারা
তোমার হাতে রয়
আমার হাতে ক্ষয়
তোমার মনে ভয়
আমার ভয়হারা
ভিভিএস লক্ষ্মণ বলছিলেন, “জুনিয়ররা বুঝল শুধু ক্রিকেটের নয়,ব্যক্তিগত ক্রিকেট-সমর্পণের স্ট্যান্ডার্ডটাকেও কত ওপরে নিয়ে যেতে হয়। তবে না সাফল্যের ফ্লোর লেভেল তৈরি হয়।” শনিবারের মায়াবী দুপুর সে দিক থেকে যেন তেন্ডুলকরের এত কালের গোপন গবেষণাগার সবার সামনে উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ার দুপুর। দূরান্তের টিভি দর্শকও আবার পাঠ্যপুস্তককে বাস্তবে আবিষ্কার করল জিনিয়াসেরও ওই একটাই ফর্মুলা: শর্টকাট নিয়ে জীবনের স্বপ্নকে ধাওয়া করতে যেও না। |
|
গার্ড অফ অনার। শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ওয়াংখেড়ে। ছবি: উৎপল সরকার। |
টেস্ট ক্রিকেটের একশো ছত্রিশ বছরের জীবনপঞ্জিতে ইনিংসে জয় ব্যাপারটাকে কখনও এত এলেবেলে, অপ্রাসঙ্গিক আর মূল্যহীন মনে হয়নি। প্রজ্ঞান ওঝা দ্রুত গেল-এর দেশকে মুড়িয়ে দিয়ে জয় এনে দিলেন আড়াই দিনে, কেউ মাথাও ঘামাচ্ছে না। রবিচন্দ্রন অশ্বিন মাত্র ১৮ টেস্টে শ’উইকেট নিয়ে এমন একটা রেকর্ড করে ফেললেন যা গত আশি বছরে ঘটেনি। তাতে কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। ধোনি তো টেস্ট জয় পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করতেও আসেননি। টিমেরও আসলে মন খারাপ। যাব যাব করে পাজি সত্যিই চলে গেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-জয়ী হওয়া গেল সচিন হারিয়ে!
ওয়াংখেড়ে প্রেসবক্সে এ বার অনেক নতুন শ্বেতাঙ্গ মুখ আর বিদেশি কাগজের ভিড় ছিল, যাদের ক্রিকেট প্রেসবক্সে কখনও দেখা যায় না। আর দেখার কারণও নেই। ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’, ‘ইকনমিস্ট’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ বা ‘টাইম’ ম্যাগাজিন এরা তো ক্রিকেট কভার করে না। স্রেফ ভারতীয় মহানায়কের ফেয়ারওয়েল দেখতে হাজির!
তেন্ডুলকরের চূড়ান্ত ওয়াংখেড়ে ল্যাপ ঘিরে তখন গোটা মাঠ ঐক্যবদ্ধ, আধুনিক এক ভারতবর্ষে রূপান্তরিত। শাঁখ বাজছে। জাতীয় পতাকা নাড়াচ্ছে লোকে। চিৎকার হচ্ছে সচিন, সচিন। অনেকে কাঁদছে হাউহাউ করে। আমাদের পক্ষেও তখন সম্পূর্ণ অদেখা পরিবেশ। এত যিনি প্রাইভেট মানুষ, সেই অঞ্জলি-ও এক বার জনসমক্ষে কেঁদে ফেললেন। মাঠের ছবির সঙ্গে একটা অন্তর্লীন গান তখন যেন কেউ চালিয়ে দিয়েছে:
‘আমার রাত পোহালো
নিশিশেষের তারার মতো হল গত।’
যত মহানাটকের আর্দ্রতা বাড়ছে, বিদেশি সাংবাদিকেরা তত সম্মোহিতের মতো দেখছেন। কেউ কেউ ভারতীয় সাংবাদিকদের কাছে আরও বুঝতে চান। ইন্টারভিউ চান। কিন্তু কে বোঝাবে?
আজকের মতো বিহ্বল প্রেসবক্স জীবনে দেখিনি, যেখানে লাঞ্চের দিকে পা না বাড়িয়ে, এক্সক্লুসিভের পেছনে না ছুটে একদল পেশাদার অবসন্ন ভাবে বসে। এই ছবিটা কারও তুলে রাখা উচিত ছিল সচিনকে দেখানোর জন্য। তখন কে ভাববে? কে-ই বা তুলবে? সবাই তো নিজেদেরও ছোট শবদেহের সামনে দাঁড়িয়ে! সচিন চলে যাওয়া মানে তো এত দিনের ব্যক্তিগত রঙিন জানালাগুলো চিরকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া!
সবার যেন তখন মনে হচ্ছে সচিন ক্রিকেট ছেড়ে কী ভাবে বাঁচবে, পরে ভাবব। আমি সচিন ছাড়া কী ভাবে বাঁচব?
অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের এমন মিলিত বিলাপ কখনও কোনও দেশের খেলার ইতিহাসে কি এ ভাবে ধ্বনিত হয়েছে? যাহ, সব শেষ হয়ে গেল! মাঝরাত্তিরেও যাঁদের কেউ কেউ এসএমএস করছিলেন, ১৬ নভেম্বর ভারতীয় ক্রিকেট সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো দিন। সচিনের অধ্যায়টাই তো শেষ হয়ে গেল! |
রমেশ তেন্ডুলকর, বাবা
সাত বছর বয়সে বাবা বলেছিলেন,
স্বপ্নকে তাড়া করো।
কিন্তু কখনও শর্টকাট নিও না। |
রমাকান্ত আচরেকর, কোচ
উনত্রিশ বছরে স্যার কোনও দিন
‘ওয়েল প্লেড’
বলেননি।
পাছে আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ি। |
অঞ্জলি তেন্ডুলকর, স্ত্রী
আমার জীবনের সেরা পার্টনারশিপ।
আমার সমস্ত বোকামি সহ্য
করার জন্য ধন্যবাদ। |
অজিত তেন্ডুলকর, দাদা
কাল রাতেও ফোন করে
আউট নিয়ে
কথা বলেছে,
টেকনিক নিয়ে কথা বলেছে। |
|
|
আমেরিকাতে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা প্রতিযোগীর ব্যক্তিগত স্বপ্নের মিনার ছোঁয়ার উচ্চাশাকে বলা হয়, দ্য গ্রেট আমেরিকান ড্রিম। সচিনকে তা হলে কী বলা হবে? দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান ড্রিম? দিভেচা প্যাভিলিয়নের টঙে এ দিন তাঁর দাদা অজিতের পাশে বসে খেলা দেখার সময় বোঝা গেল, তিনি আবেগ থেকে নিজেকে আলাদাই শুধু করেননি, ভাইয়ের ভুলভাল এখনও ধরছেন। কাল সচিনের আউট হওয়ার শটটা খেলার দরকার ছিল না, এই অনুযোগের পর বল হাতে সচিন একটা শর্ট পিচ আর একটা ফুলটস দিলেন। অজিত ঘাড় নাড়লেন, না। লোকে সই নিতে, ছবি তুলতে অহরহ আসছে। কিন্তু সচিনের ওভারটা শেষ না হওয়া অবধি সব বন্ধ। মধ্য চল্লিশ বয়েস। বিয়ে করেননি ভাইয়ের কেরিয়ার গড়তে গিয়ে। সাধে কি আর সচিন বক্তৃতায় বললেন, “আমরা একসঙ্গে একই স্বপ্নের সওয়ার ছিলাম”? পাশের প্যাভিলিয়নে বসা অঞ্জলি। যিনি মেডিসিনে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েও ডাক্তারি করেননি, স্বামী যাতে ক্রিকেটে মন দিতে পারেন। কী অসাধারণ অজিত-অঞ্জলির কম্বিনেশন! আজকের সর্বকালের সেরা ক্রিকেট বিদায়যাত্রার পর অন্তত প্রভাবে আর মর্যাদায় সচিন-ব্র্যাডম্যান পাশাপাশি! কিন্তু এমন ‘এ প্লাস এ হোল স্কোয়্যার’ ব্র্যাডম্যান পাননি। তাঁর স্ত্রী জেসি থাকলেও কোনও ‘অজিত’ ছিল না। সচিনের যেন জন্মকুণ্ডলী থেকেই সব কিছু অদৃশ্যে নিয়ন্ত্রিত।
যুবরাজ সিংহ আর ভাজ্জি দলে না থাকলেও সচিনকে হেঁটে ড্রেসিংরুমে ফিরতে দেবেন না ঠিক করেছিলেন। ওঁদের প্ল্যান ছিল, কাঁধে চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু আইসিসি-র নিয়মে আটকেছে। যুবরাজ গতকাল বিষণ্ণ ভাবে বললেন, “এত করে চেয়েছিলাম। কিন্তু হচ্ছে না।” ধোনি এঁদের প্ল্যানের কথা জানতেন কি না, জানি না। কিন্তু এ জন্যই তিনি আলাদা। ভারত অধিনায়ক এমন প্ল্যান করেছিলেন যা ক্রিকেট মাঠে কখনও হয়নি। সারিবদ্ধ গার্ড অব অনার দিতে দিতে উইকেট থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া ড্রেসিংরুমে। ভারতরত্ন তো অনেকে পেয়েছেন। আরও পাবেন। ক্রিকেট মাঠে টিমমেটদের ওই অতটা রাস্তা লাইন ঠিক করতে করতে গার্ড অব অনার কেউ কখনও দেখেনি! পাওয়া তো দূরের ব্যাপার! দু’ধারে ধোনির দল আর তার ভেতর দিয়ে স্টাম্প নাড়াতে নাড়াতে সচিন কী অসাধারণ একটা কোলাজ! বৃত্তাকার সুড়ঙ্গের ভেতর দিয়ে যেন এক মশালবাহী চালনা করে নিয়ে যাচ্ছে। এক দেশ। এক জাতি। এক বর্ণ। এক ধর্ম। এক পরিধান। এক পরিচালক!
প্রযুক্তি দর্শকদের মুম্বই টেস্টে বিশেষ সুযোগ দিয়েছে। নেটে লগ-ইন করে নিজের ছবিটা বার করে নেওয়ার। ছবির সঙ্গে একটাই ক্যাচলাইন ভবিষ্যতের জন্য। আমিও সে দিন ওখানে ছিলাম!
তাই কি দাঁড়াবে লাইনটা? নাকি আমিও সে দিন ওখানে ছিলাম আর কেঁদেছিলাম?
বিদায় এসআরটি। বিদায় মহীয়ান ক্রিকেট-সভ্যতা। বিদায় আমাদের রঙিন জানলাগুলো! |
|
পুরনো খবর: রূপকথার শেষ অঙ্কে
মায়াবী বিষণ্ণতা |
|
|
|
|
|