শিলিগুড়ির অদূরে মাটিগাড়ায় শনিবার ফুটবল স্কুলের উদ্বোধন করলেন ভাইচুং ভুটিয়া। একটি বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যৌথ ভাবে ওই স্কুল চলবে। ফুটবল নিয়ে উৎসাহী ৫ থেকে ১৮ বছরের ছেলেমেয়েরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। ভাইচুং নিজেও মাঝে মধ্যে প্রশিক্ষণ দিতে আসবেন বলে জানান।
কিন্তু স্পনসরশিপের অভাবে সমস্যায় পড়েছে ভাইচুং ভুটিয়ার ক্লাব ইউনাইটেড সিকিম। বর্তমানে তারা আই-লিগে দ্বিতীয় ডিভিশনে রয়েছে। নিজের ক্লাব নিয়ে তিনি কী ভাবছেন? ভাইচুং বলেন, “স্পনসরশিপের জন্য সমস্যা রয়েছে। ভাল দল, ক্লাব চালাতে অর্থ দরকার। যত বেশি আর্থিক সহায়তা মিলবে তত ভাল দল করা সম্ভব হবে। প্লেয়ারদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া যাবে।” তবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের দাবি, তাঁর ফুটবল স্কুল ক্লাবের জন্যও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ তথা উত্তর পূর্ব ভারতে এটাই প্রথম ফুটবল স্কুল। এই রাজ্যে, বিশেষ করে শিলিগুড়ি আমার দ্বিতীয় ‘হোম টাউন’-এ এই স্কুল করতে পেরে আমি খুশি। যাদের সাহায্যে একযোগে এই স্কুল হচ্ছে তাদের ধন্যবাদ। এখান থেকে যাতে ভবিষ্যতে ফুটবলার তৈরি হয় সেই লক্ষ্য রয়েছে।” |
মাটিগাড়ায় ফুটবল স্কুলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতীয় ফুটবল দলের
প্রাক্তন
অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়া। শনিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক। |
ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশের ৭ টি জায়গায় ‘ভাইচুং ভুটিয়া ফুটবল স্কুল’ চালু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা, চণ্ডীগড়, জম্মু, মুম্বাই। সব মিলিয়ে এখন অন্তত ৮০০ ছেলেমেয়ে ওই স্কুলগুলিতে ফুটবল প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই স্কুলে দু’জন বিদেশী কোচ থাকবেন। ১০ জন শিক্ষার্থী পিছু এক জন করে কোচ থাকবেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে স্কুল থেকেই। সপ্তাহে ৩ দিন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। অন্য স্কুলের বা ফুটবল নিয়ে উৎসাহী অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের ছেলেমেয়েরা এখানে প্রশিক্ষণ পেতে পারবে। দিল্লির ফুটবল স্কুলে প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা ফি নেওয়া হলেও এই অঞ্চলে তা অনেকটাই কমবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। প্রতিভাবান, দুঃস্থ পরিবারের ফুটবলারদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থাও থাকছে। ৩০ শতাংশ আসন ওই ধরনের ছেলেমেয়েদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অনূর্ধ্ব ৮, অনূর্ধ্ব ১০, অনূর্ধ্ব ১২, অনূর্ধ্ব ১৪ বিভিন্ন বিভাগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। ভাইচুং দাবি করেন, তিনি চান ভবিষ্যতে তাঁর এইউ স্কুল জাতীয়স্তরের ফুটবলার উপহার দেবে। ইতিমধ্যেই তাঁর স্কুলের ১৯ ফুটবলার বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন। সিকিমে এই ধরনের পরিকাঠামো পেলে তিনি সেখানেও ফুটবল স্কুল চালু করতে পারতেন বলে জানান। |