|
|
|
|
কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি সরকারের, উঠছে নানা প্রশ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদন |
খোলা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যবাসীকে কিছুটা স্বস্তি দিতে প্রায় অর্ধেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে সরকার। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা সামান্যই। আপাতত কলকাতার কিছু এলাকা এবং জেলা সদরগুলিতে সরকারি দরে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের খোলা বাজারগুলিতে পেঁয়াজের দাম এখন কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সেখানে রাজ্য সরকার বিক্রি করছে ৩৬ টাকা কেজি দরে। যদিও কোনও ক্রেতাকেই ৫০০ গ্রামের বেশি দেওয়া হচ্ছে না। গত দু’দিন বেশির ভাগ জেলায় দিনে গড় বিক্রি হয়েছে ৪০০ কেজির মতো। তবে সামান্য কিছু মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার জন্য করদাতাদের টাকায় ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা অবশ্য বলেন, “সরকার খোলা বাজার থেকে চড়া দামে পেঁয়াজ কিনছে না। চেনা-জানার সূত্র ধরে নাসিক ও বেঙ্গালুরু থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তা-ও নিতান্ত কম দামে। সামান্য যে ভর্তুকি তা আমাদের দফতরই দিচ্ছে। সেটা আমাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। আপাতত জেলা সদরগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রয়োজনে অন্যত্রও করা হবে।”
তবে বিভিন্ন জেলার উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ আধিকারিকের থেকে পাওয়া তথ্য মন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিলছে না। যেমন কোচবিহারের আধিকারিক খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, খোলা বাজার থেকে তাঁরা ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে বিক্রি শুরু করেছেন তাঁরা। দার্জিলিংয়ের আধিকারিক বিপ্লব সরকার জানান, শিলিগুড়ি থেকে তাঁরা ৫২-৫৩ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছেন। জলপাইগুড়ি ও মালদহেও স্থানীয় বাজার থেকেই পেঁয়াজ কেনা হয়। উত্তর দিনাজপুরের আধিকারিক সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া জানান, কেজি প্রতি ১৯ টাকা ভর্তুকি দিয়ে দু’দিন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরেও পেঁয়াজ নেওয়া হয়েছে স্থানীয় এক হিমঘর মালিকের কাছ থেকে।
প্রায় একই চিত্র দক্ষিণবঙ্গেও। পূর্ব মেদিনীপুরের আধিকারিক স্বপনকুমার শীট জানান, স্থানীয় পাইকারদের থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। হুগলির আধিকারিক দীপক ঘোষ জানান, শ্যাওড়াফুলির পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করা হয়েছে আরামবাগে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক নেধারাম মণ্ডল জানান, পাইকারি বাজার থেকেই ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে। বর্ধমানেও স্থানীয় বাজার থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করা শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা বা বীরভূমে অবশ্য স্থানীয় ভাবে পেঁয়াজ কেনা হয়নি।
মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, “এই সব তথ্য ঠিক নয়। আমরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি তার থেকে সামান্য বেশি টাকা দিয়েই পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে। রাজ্যের ভিতর থেকে কোনও পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে না। মানুষের কাছে ন্যায্য দরে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে প্রয়োজনে আরও বেশি পেঁয়াজ আনা হবে।”
|
পুরনো খবর: বর্ষায় মার খেয়ে পেঁয়াজ চাষে শীতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় রাজ্য
|
|
|
|
|
|