কৃষি খামারের পরিত্যক্ত পুকুরে মাছ চাষ করে আয়ের রাস্তা বার করল নদিয়া ও বর্ধমান জেলার কৃষি দফতর। নদিয়ার তিনটি ও বর্ধমানের দু’টি কৃষি খামারের পুকুরে শুরু হয়েছে মাছ চাষ।
প্রায় প্রতিটি সরকারি কৃষি খামারেই একটি করে বেশ বড়সড় মাপের পুকুর থাকে। এতদিন অবধি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই পুকুরগুলি শুখা মরশুমে জলহীন থাকত আর বর্ষায় কচুরিপানা ও মশার অবাধ প্রজননক্ষেত্র হয়ে পড়ে থাকত। কিন্তু এ বছর ওই পুকুরগুলি সংস্কার করে মাছ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভিন্ন জেলার কৃষি দফতর। এ ব্যাপারে নদিয়া জেলার সহকারি কৃষি অধিকর্তা ভাস্কর দত্ত বলেন, “জেলায় সরকারি কৃষি খামারে পুকুরের সংখ্যা আটটি। এর মধ্যে ফুলিয়া ও কৃষ্ণগঞ্জের পুকুর দু’টির জন্য প্রায় ২৫ হাজার করে টাকা এবং নাকাশিপাড়ার পুকুরটির জন্য সাড়ে ছ’ হাজার টাকার মাছ ছাড়া হয়েছে। করিমপুর কৃষি খামারের পুকুরেও এই মাসেই পোনা ছাড়া হবে।” |
এ ক্ষেত্রে পড়শি বর্ধমান জেলা অবশ্য কয়েক কদম এগিয়ে আছে। জেলার কালনা বা পূর্বস্থলীর কৃষি খামারের পুকুরের চাষ করা রুই বা কাতলা বাজারে বিক্রি করাও শুরু হয়েছে। চাষ শুরুর আগে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পুকুরগুলির সংস্কার করা হয়েছিল। জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, “২৬ জুলাই মন্তেশ্বর কৃষি খামারের একটি পুকুরে ও ৬ অগস্ট পূর্বস্থলীর একটি পুকুরে রুই-কাতলার পোনা ছাড়া হয়। ৩০ অক্টোবর প্রথম বার পূর্বস্থলীর পুকুরটি থেকে মাছ ধরা হয়েছে। ওই দিন পাঁচ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, “এই প্রকল্পে আমরা প্রায় সাড়ে ষাট হাজার টাকা পেয়েছি। পুকুর সংস্কার, চারা পোনা কেনা, মাছের খাদ্য বাবদ এখনও অবধি প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমরা এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।” |