একটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে তিনি তাকিয়ে ছিলেন মিছিলটার দিকে। বৃহস্পতিবার সকালের এই মিছিলে হাঁটছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে পা মেলাচ্ছেন শাসকদলের জনাকয়েক রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতা। ১, ২, ৩ ও ৪ ওয়ার্ড পরিক্রমার পর মিছিলটা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যেতেই সেখানকার কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জুলজুল চোখে মিছিলকে দেখছিলেন। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে নমস্কার করছেন মুকুল রায়। দেবাশিসবাবুকে নমস্কার করেন তিনি। প্রতি নমস্কার করেন দেবাশিসবাবু। তারপর বিশাল মিটিংটা শেষ না হওয়া অবধি দেবাশিসবাবু ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেন। |
শাসকদলের প্রতীকে গত পুরভোটে জিতেছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর আসনটি এ বার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়ে পড়ে। তিনি চেয়েছিলেন স্ত্রী টিকিট পাক। কিন্তু শেষমেশ শিঁকে ছেড়ে সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেওয়া রত্না রায়ের। বাধ্য হয়ে দেবাশিসবাবুর স্ত্রী রুপা মুখোপাধ্যায় কংগ্রেসের টিকিটে এ বারের পুরভোটে লড়ছেন। দল ছাড়লেও মুকুল রায়ের প্রতি শ্রদ্ধায় কমতি পড়েনি দেবাশিসবাবুর। তিনি বললেন, “জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। বাধ্য হয়েই দল ছাড়তে হল। মুকুলবাবু আমার শ্রদ্ধেয় নেতা। তাই যখন নমস্কার তখন তখন ভিতরে একটা ভালোলাগা তো কাজ করবেই।” মিছিলে হাঁটা অনেকেই বললেন, “ভগ্ন হৃদয়ে বহু কর্মী সমর্থক মিছিলে পা মিলিয়েছেন। কারণ, কংগ্রেস কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা অনেক কর্মী সমর্থক ভালোভাবে নিতে পারেননি।” তবে এ সবের মধ্যে এ দিন মুকুলবাবু অবশ্য ছিলেন বেশ খোশমেজাজে। কর্মী সমর্থকদের উপদেশের সুরে বলেন, “উৎসবের আনন্দে ভোট করুন। এ বার কৃষ্ণনগর পুরসভায় আমরা ভাল ফল করব।”
|