জগদ্ধাত্রীর ভাসানকে কেন্দ্র করে কৃষ্ণনগর ও শান্তিপুরে গণ্ডগোল বাধে বুধবার রাতে।
পুলিশ জানায়, এ দিন রাতে ঘূর্ণির পুতুলপট্টিতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় ঘরামি পাড়ার তুফান সঙ্ঘের লোকজন। তারা এলাকার মহিলাদের মারধর করে বলেও অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সুবীর পাল বলেন, “হামলাকারীরা বিবেকানন্দের মূর্তি পর্যন্ত ভেঙেছে।” পুলিশের অনুমান, দুই এলাকার কিছু যুবকের মধ্যে পুরনো কোনও গণ্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা। তুফান সংঘের এক কর্মকর্তা সাধন বিশ্বাস বলেন, “ওই এলাকা দিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার সময় আচমকা কয়েকজন যুবক আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা কোনওরকম ভাঙচুর করিনি।” |
পাশাপাশি এ দিনই বিসর্জনের সময় শান্তিপুরের সূত্রাগাড়ে লংকাপাড়া বারোয়ারির লোকেরা পুলিশের উপর চড়াও। কর্তব্যরত দুই পুলিশকর্মী জখমও হন। পুলিশের দাবি, নিষেধ অমান্য করে ওই বারোয়ারির কর্মকর্তারা বিশালাকৃতি ট্যাবলো ও আলোকসজ্জা নিয়ে শোভাযাত্রা বার করে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। প্রতিমার মুখে কালো কাপড়ও পড়িয়ে দেয় পুজো উদ্যোক্তারা। পরে শান্তিপুর থানার বড় পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। ওই বারোয়ারির অন্যতম কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ বলেন, “পুলিশের নিষেধের আগেই আমরা ট্যাবলো ও আলোকসজ্জার কাজ শেষ করেছিলাম। তাই পুলিশি নিষেধাঞ্জা মানা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের উপর কেউ চড়াও হয়নি।” |