|
|
|
|
নয়াচরের ছাড়পত্র, ফের তৎপর রাজ্য
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নয়াচরে প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য। বার বার চেষ্টা করার পরও কেন পরিবেশ ছাড়পত্র মিলছে না, শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়্যারম্যানকে তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পরিবেশ মন্ত্রকের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অভাবে নয়াচরে ১৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ার কাজ শুরু হতে পারছে না। প্রকল্পটি নিয়ে পাঁচ দফা প্রশ্ন তুলেছিল পরিবেশ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞ কমিটি। বলা হয় হুগলি নদীর মোহনায় এই দ্বীপে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হলে পরিবেশে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এর পর পরিবেশবিদদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটি তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্টটি ধরেই গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে ছাড়পত্রের দাবিতে জোরালো যুক্তি পেশ করে রাজ্য। কিন্তু ছাড়পত্র মেলেনি। উল্টে নতুন দু’টি প্রশ্ন তুলে নয়াচরের প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিটি। ২৮ অক্টোবর সেই প্রশ্নেরও উত্তর জমা দিয়েছে প্রকল্প তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউনিভার্সাল সাকসেস গোষ্ঠী। তা-ও পরিবেশ মন্ত্রক কেন ছাড়পত্র দিচ্ছে না, তা খতিয়ে দেখতে আজ পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের এমডি কৃষ্ণ গুপ্তকে নির্দেশ দিয়েছেন পার্থবাবু। আজ দিল্লিতে ৩৩তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়নের উদ্ধোধন করেন পার্থবাবু। আশ্বাস দেন, “নয়াচরে দ্রুত কাজ শুরু করতে রাজ্য তৎপর।”
নয়াচর প্রকল্পটি আটকে থাকলেও পার্থবাবুর দাবি, রাজ্যের শিল্পচিত্র উজ্জ্বল। তাঁর দাবি গত এক বছরে দেশের মধ্যে শিল্পে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের হিসাবে গুজরাতকে পিছনে ফেলে রাজ্য এক নম্বরে। আগামী দিনে রাজ্যের ন’টি জেলায় আইটি হাব গড়ে তোলা ছাড়াও নৈহাটি, ফলতা ও হলদিয়ায় হার্ডওয়ার পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পার্থবাবুর কথায়, “২০১৬-এর মধ্যে যাতে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের মোট ২৫ শতাংশ রফতানি পশ্চিমবঙ্গ থেকে হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।”
|
পুরনো খবর: নয়াচরে ফের বাগড়া পরিবেশ মন্ত্রকের |
|
|
|
|
|