|
|
|
|
নামসংকীর্তনে হাড়গিলা-প্রচার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বিপন্ন প্রজাতির হাড়গিলা সংরক্ষণে বিরল উদ্যোগ নিলেন কামরূপের দদরা গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে, সারা পৃথিবীতে ৮০০ থেকে ১০০০ হাড়গিলা বেঁচে রয়েছে। তার মধ্যে অসমে রয়েছে প্রায় ৭০০ হাড়গিলা। বিশ্বে মোট ২০টি বক-জাতীয় পাখির মধ্যে বিরলতম ও বৃহত্তম হল হাড়গিলা। বর্তমানে কম্বোডিয়া ও অসম ছাড়া আর কোথাও হাড়গিলার দেখা মেলে না। অসমের মধ্যে দদরা গ্রামেই রয়েছে হাড়গিলার বৃহত্তম বসতি। তাই ‘বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল’, ‘কনজারভেশন ইন্টারন্যাশনাল’, ‘ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেনশন সোসাইটি’ ও ‘ফ্লোরা ইন্টারন্যাশনাল’ অসমে হাড়গিলা সংরক্ষণে হাত মিলিয়েছে।
স্থানীয় এলজিও আরণ্যকের পক্ষে দদরা গ্রামে সেই প্রকল্পের ভার সামলাচ্ছেন পূর্ণিমা দেবী বর্মন। তিনি জানান, হাড়গিলা সংরক্ষণে বর্তমানে গ্রামের আবালবৃদ্ধবণিতা যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন তা আশাতীত। যে সব গাছে হাড়গিলার বাসা, সেগুলি কাটা তো দূরের কথা, সযত্নে রক্ষা করছেন গ্রামবাসীরাই। কোনও হাড়গিলার শিশু গাছ থেকে পড়ে গেলে গ্রামবাসীরাই তার সেবা করে, পশু চিকিৎসকদের ডেকে আনেন। এই দদরা গ্রামের এক মন্দিরের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে মিছিল, নামগানের সঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে হাড়গিলা সংরক্ষণের বার্তা। পূর্নিমাদেবী জানান, বাইরে থেকে পরিকল্পনা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। দদরা ও তার আশপাশের গ্রামবাসীরা ঠিক করেন, ধর্মীয় শোভাযাত্রার পুরোভাগে থাকবে এ সংক্রান্ত প্রচার। হাড় গিলার মুখোশ তৈরি করা হয়। তৈরি হয় পাখি ও হাড়গিলা সংরক্ষণের পোস্টার। দদরার পথে প্রায় পাঁচশো মানুষ হাড়গিলা-মুখোশধারীদের সামনে রেখে পথে নামগান করেন। ছাত্রছাত্রীদের বুকে সাঁটা ছিল হাড়গিলা বাঁচাবার বাণী। এই গ্রামে গান বাঁধা হয়েছে হাড়গিলা নিয়ে, হাড়গিলার ছবি বোনা হয় ফুলাম গামোসাতেও।
|
|
|
|
|
|