|
|
|
|
|
ড্র গেমেও উত্তেজনার
উপাদান অনেক দিব্যেন্দু বড়ুয়া |
|
চার নম্বর গেম শেষ হওয়ার পর সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট দেখলাম, ‘‘যে ভাবে লড়াই চলছে তাতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ নামটা পাল্টে ‘ওয়ার্ল্ড ড্র চ্যাম্পিয়নশিপ’ রাখা উচিত।”
ছ’ঘণ্টা চলার পরেও হার-জিত না হওয়ায় হতাশা স্পষ্ট। সর্বোচ্চ পর্যায়ের লড়াইয়ে মীমাংসা দেখার প্রত্যাশাটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে তৃতীয় গেমে আনন্দ আর কার্লসেন দু’জনেই যে ভাবে খেলায় গিয়ার চেঞ্জ করেছিল তাতে মনে হচ্ছিল, চতুর্থ গেমেই হয়তো একটা রেজাল্ট আসবে। তার উপর আনন্দ এ দিন খেলছিল সাদা ঘুঁটি নিয়ে। ৬৪ চালেও ফয়সালা হয়নি ঠিকই, তবে গেমটায় উপভোগ করার উপাদান কিন্তু কম ছিল না।
আনন্দের রাজার ঘরের বোড়ের চালের জবাবে কার্লসেনের ‘বার্লিন ডিফেন্স’ দিয়ে শুরু। একটা সময় জনপ্রিয়তা হারালেও কাসপারভের বিরুদ্ধে এই ওপেনিংকে পুনরুজ্জীবন দিয়েছিল ক্র্যামনিক। আনন্দের সেকেন্ডদের অন্যতম লেকো-ও এই ওপেনিংয়ে খেলতে ভালবাসে। আনন্দকে চাপে রাখতেই বোধহয় কার্লসেন এ ভাবে শুরুতেই চমক দিতে চেয়েছিল। এই ওপেনিংটার বৈশিষ্ট হল স্লো গেম হবে, আর সূক্ষ্ম বোঝাপড়ায় খেলতে হবে মিডল গেম। |
|
১৮ নম্বর চালের পর গেমটা নতুন মোড় নেয়। আনন্দ বোড়ে ‘স্যাক্রিফাইস’ করে। বোর্ডের সেন্টার অঞ্চলে তখন নিয়ন্ত্রণ ছিল আনন্দেরই। কার্লসেনের বেশ কয়েকটা কালো ঘুঁটি ‘আন্ডার ডেভলপড্’ থাকায় আনন্দ ঝুঁকিটা আরওই নিয়েছিল। কিন্তু ওর পরিকল্পনা কাজে আসেনি। বরং ২৫ চালের পর কার্লসেনই গেমের দখল নিয়ে জেতার দিকে এগোচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। রেজাল্ট হয়তো এ দিনই আসতে পারত, যদি না ৩৬ নম্বর চালে কার্লসেন ভুলটা করে বসত। এই সুযোগে ফের ম্যাচে ফেরত আসে আনন্দ। ৪৫ থেকে ৬৪, এই উনিশটা চাল আনন্দ নিখুঁত খেলেছে। টাইম আর পজিশন দুটোই অসম্ভব ভাল সামলেছে।
অনেকে বলতে পারেন আনন্দ তো কার্লসেনের চেয়ে বেশি সময় নিয়েছে। ঠিকই। তা হলেও এন্ড গেমে টেকনিক দুরন্ত রেখে ড্র করতে পেরেছে। তবে একটা কথা, এই প্রথম কিন্তু কার্লসেন ওর মনের মতো ‘লং গেম’ খেলতে সফল হওয়ায় পজিশন পেয়ে গিয়েছিল। আনন্দ তাই একটা সময় চাপে পড়ে যায়। বাকি আট গেমে একই পরিস্থিতি পেলে কার্লসেন কিন্তু আনন্দকে আরও চাপে ফেলে দিতে পারে। সেটা মাথায় রেখে এক দিন বিশ্রামের পর শুক্রবার পঞ্চম গেমে আনন্দ কী স্ট্র্যাটেজি নেয় এখন দেখার! |
পুরনো খবর: আনন্দ এখন ফুরফুরে চাপে বরং কার্লসেনই |
|
|
|
|
|