মোদীকে নোটিস নির্বাচন কমিশনের
রাহুল গাঁধীর পর এ বার নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে নরেন্দ্র মোদীকে নোটিস পাঠাল নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ে একটি নির্বাচনী সভায় মোদী বলেন, “ছত্তীসগঢ়কে রক্তাক্ত হাত থেকে বাঁচাতে হলে পদ্মফুলে বোতাম টিপুন।” কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রতীককে বিকৃত করে এই ধরনের কথা বলার জন্য তাঁর জবাবদিহি চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কিছু দিন আগেই রাজস্থানের চুরুতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতে মুজফ্ফরনগরের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ইন্ধন জুগিয়েছে বিজেপি। এর পর নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে জবাবদিহি চেয়ে রাহুল গাঁধীকেও নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন। বুধবার তার জবাব দেন তিনি। তবে আজ কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাহুল গাঁধীর উত্তর সন্তোষজনক নয়। পাশাপাশি তাঁকে পরবর্তী কালে বক্তৃতার সময় সংযত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, রাহুল গাঁধী নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া জবাবে আরএসএস নেতা এম এস গোলওয়ালকরের প্রসঙ্গ টানায় ক্ষুব্ধ বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র তরফে বলা হয়, মোদী তাঁর বক্তৃতায় কংগ্রেসের রক্তাক্ত হাত-এর কথা বলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেননি। কিন্তু রাহুল গাঁধী আরএসএস নেতার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি-র মুখ বন্ধ করাতে চেয়েছেন। দলীয় মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন এ দিন বলেন, “মুজফ্ফরনগর প্রসঙ্গে রাহুল গাঁধীর মন্তব্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন তাঁকে সতর্ক করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ইন্ধন দিচ্ছেন। তবে কমিশনকে তিনি যা জবাব দিয়েছেন তা যথেষ্ট নয়।”
রাহুল গাঁধীকে যখন নানা ভাবে আক্রমণ করে চলেছে বিজেপি, তখন পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মোদী বলেছিলেন, তাঁকে হত্যা করার জন্য ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং সিবিআইকে ব্যবহার করছে কংগ্রেস। আজ মোদীর সেই কথায় আপত্তি জানিয়ে ফের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে কংগ্রেস।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.