প্রশাসনের কাছে অভিযোগ আসছিল, নিম্নমানের আলু সরবরাহ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে জোগানও ঠিক থাকছে। সে জন্য বুধবার আলু ব্যবসায়ী সমিতি, পাইকারি ব্যবসায়ী-সহ হিমঘর মালিকদের নিয়ে সিউড়িতে বৈঠক করেন এগ্রিকালচার মার্কেটিং দফতরের জেলা আধিকারিক মহম্মদ আকবর আলি। সেখনে কোনও সমাধান সূত্র বের না হওয়ায় জেলা সভাধিপতির দ্বারস্থ হন প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক-সহ আকবর আলি।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) বিধান রায় অবশ্য বলেন, “আলু ব্যবসায়ী থেকে হিমঘর মালিক, পাইকারি ব্যবসায়ী সকলকে এ দিন বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে যা করার উনাদের করতে হবে। তা না হলে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কুণ্ঠিত হবে না।”
হিমঘর মালিকদের পক্ষে গৌতম ছাজের দাবি, “বীরভূমে যে ধরনের আলু উপাদিত হয়, তা নিম্নমানের। ওই আলু জেলাতে খুব একটা বিক্রিও হয় না। এই জেলার অধিকাংশ আলু বিহার, ঝাড়খণ্ডে যায়। বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি জেলা থেকে বীরভূমে আলু আসে। কিন্তু এ বার বীরভূমে উৎপাদিত আলু বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। এই সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনি মহরমের জন্য কর্মীরা ছুটিতে থাকায় মাল লোডিং-আনলোডিংয়ে সমস্যা হচ্ছে।”
তবে শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা গৌতমবাবুর। জেলা আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, “শ্রমিক সমস্যায় বুধবার মাল বোঝাই করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের বাঁকুড়া বা অন্য জেলা থেকে আলু নিয়ে আনতে বলা হয়েছে। তাঁরা যদি এটাও না পারেন, তা হলে বাজারে কিছুটা হলেও আলুর জোগানে ঘাটতি হবে।” এ দিকে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, সাঁইথিয়ার হিমঘর থেকে যে আলু পাওয়া যাছে, তার মান খারাপ হওয়ার ক্রেতারা নিতে চাইছে না। ৫০ কেজি ভাল আলু আবার ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ১৩ টাকার থেকে দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে। তাই পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়, এই নিয়ে আমরাও চিন্তিত।”
|