নবাবহাটে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীর ছবি দিয়ে পোস্টার ও হ্যান্ডবিল ছাপিয়ে তাদের সন্ধান শুরু করছে বর্ধমান পুলিশ। ওই দুই দুষ্কৃতীর নাম আবুল শেখ ও আজিম শেখ। একজনের বাড়ি বর্ধমান থানার ধামসোরে, অন্যজনের নবাবহাটে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ধৃত ছ’জনকে জেরা করে এই দু’জনের নাম মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্টারে দু’জনের ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, নবাবহাটে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এই দু’জন জড়িত। এদের সন্ধান চাই। যদি কোনও ব্যক্তি সন্ধান দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেন, তাহলে তাঁর নাম গোপন রাখা হবে।
গত ২৫ অক্টোবর টিউশন থেকে ফেরার পথে ওই দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২৭ অক্টোবর স্থানীয় ডিভিসি সেচখালের পাড়ে তার দেহ মেলে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এলাকার তিন যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলেও দেন গ্রামবাসীরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তিনজনকে ধরে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি ছিল, ওই ঘটনায় ১২ জন জড়িত। তবে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিল, ছ’জনের বেশি জড়িত নয়। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গোড়ায় আমাদের মনে হয়েছিল ওই ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণে ওই ছ’জনই সরাসরি জড়িত। কিন্তু ধৃতদের জেরা করে ও পুলিশি তদন্তের পরে আমরা আরও দু’জনের নাম পাই, যারা সরাসরি ওই ঘটনায় যুক্ত। তাদের খোঁজই চলছে এভাবে।”
বর্ধমান থানা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দুই নয়, আসলে তিন দুষ্কৃতীকে খুঁজছে পুলিশ। তৃতীয় জনের নাম শেখ বাদশা। শেখ বাদশা ওই ছাত্রীর বাড়ি অর্থাৎ দিঘিরপাড়েরই বাসিন্দা। তবে তার ছবি জোগাড় করতে না পারায় পুলিশ আপাতত ওই দু’জনের নামেই পোস্টার ছাপিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শেখ বাদশার ছবি জোগাড়ের চেষ্টা চলছে। বর্ধমান থানার এক আধিকারিকের কথায়, “আমরা যে দু’জনের ছবি দিয়ে পোষ্টার, হ্যান্ডবিল তৈরি করছি, তা ভোটার তালিকা থেকে জোগাড় করা হয়েছে। সেই ছবি এলাকার লোকেদের দেখিয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, এই দু’জনেই অভিযুক্ত।”
|