সকালে ট্রেন চেয়ে স্মারকলিপি কালনায় |
সমস্ত এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশনে থামা, প্ল্যাটফর্ম চত্বর পরিষ্কার হওয়া-সহ নানা বিষয়ের দাবিতে মঙ্গলবার অম্বিকা-কালনা স্টেশন ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কালনা শহর শাখা। সকালে শিয়ালদহ যাওয়ার ট্রেন, ওভারব্রিজের আলো লাগানো, অসুস্থ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য স্টেশনে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা-সহ ৯ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বেলা ১২টা নাগাদ শহর থেকে একটি মিছিল রওনা দেয় স্টেশনে। সেখানে উপস্থিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সমরজিৎ হালদার বলেন, “সকালে বহু মানুষকে বিভিন্ন কাজে শিয়ালদহ যেতে হয়। অম্বিকা-কালনা থেকে সরাসরি ট্রেন না মেলায় দু’বার ট্রেন বদলে তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে হয়। দ্রুত এই অসুবিধা দূর না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।” কালনার স্টেশন ম্যানেজার অঞ্জন দাসের বক্তব্য, “দাবিগুলির মধ্যে কয়েকটি দাবি ইতিমধ্যেই প্যাসেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনও জানিয়েছে। এ দিনের দাবিগুলি অবিলম্বে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
|
বাস ও মিনি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় আহত হয়েছেন ৩০ জন। মঙ্গলবার বিকেলে মেমারির বনগ্রামের কাছে বর্ধমান কালনা রোডে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, এ দিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বরাকর-কৃষ্ণনগর রুটের একটি বাস ধাক্কা মারে বর্ধমানমুখী ওই ট্রাককে। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতেরা পেশায় খেত মজুর। মেমারি ২ ব্লকের বিজুর গ্রামে তাঁরা ধানকাটার কাজ করতে গিয়েছিলেন। কাজ সেরে বর্ধমান-২ ব্লকের বলগনা গ্রামে ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাসটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক। এ দিন হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন জামালপুরের বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক, জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূলের খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম জার্জিস, তৃণমূলের বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক পড়ুয়ার। তার নাম সুরাইয়া খাতুন (১৬)। বাড়ি মেমারির ঝাইমাপাড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে বাড়িতে টিভি দেখা নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বচসা হয় তার। বাবা-মা বকাঝকাও করে বলে দাবি পুলিশের। এরপরই কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয় সে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হলে মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই মারা গিয়েছে সে। সুরাইয়া মেমারির মহেশডাঙার স্কুলের ছাত্রী।
|
হাসপাতালে মৃত্যু হল এক ছাত্রের। ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের নাম সোমনাথ গুছাইত (২২)। ইউআইটি সূত্রে জানা যায়, বেড়াতে বেরিয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল তাঁর। পরে মৃত্যু হয়।
|
এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম বিপুল কারাত (৩৭)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কেষ্টপুরে। বর্ধমানের এক হোটেল থেকে সোমবার রাতে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার তিনি বর্ধমানে জলের পাইপ সারানোর বরাত নিয়ে এসেছিলেন। রাতে ওই হোটেলে এসে ওঠেন। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। তবে মৃতের পরিচিত মহেশ কুমার মঙ্গলবার মর্গে জানিয়েছেন, তাঁদের সন্দেহ বিপুলবাবুকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ জানা গেলে প্রয়োজন হলে খুনের মামলা দায়ের করা হবে। |