পুরভোটের মুখে দুই বিক্ষুব্ধ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।
দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নির্দেশে দুই বিক্ষুব্ধ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের একজন অসীমধর নিজে পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। আর এক বহিষ্কৃত শিবু পাণিগ্রাহীর স্ত্রী নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সোমবার তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “দলবিরোধী কাজের জন্য দু’জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্য কেউ দলবিরোধী কাজে জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুর-নির্বাচনের মুখে বিক্ষুব্ধ দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রার্থী বাছাই শুরু হতেই বেশ কিছু ওয়ার্ডে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসে। কয়েকটি ওয়ার্ডে বিক্ষুব্ধরা নির্দল প্রার্থী হন। এঁদের মধ্যে উল্লেখ্য অসীম ধর, সীমা পানিগ্রাহী। অসীমবাবু ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হিসেবে লড়ছেন। এই এলাকা মৃগেনবাবুর নিজের এলাকা। আর অসীমবাবু দলের ওয়ার্ড সভাপতি। দল এখানে প্রার্থী করেছে নির্মাল্য চক্রবর্তীকে। অন্যদিকে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দল হিসেবে লড়ছেন সীমা পানিগ্রাহী। তাঁর স্বামী শিবু পানিগ্রাহী জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য ছিলেন। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী শিপ্রা মণ্ডল।
পুর-নির্বাচনের প্রচারে রবিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুকুলবাবু। রাতে ছিলেন সার্কিট হাউসে। সোমবার তিনি ঝাড়গ্রামে যান। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা নেতাদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠক করেন মুকুলবাবু। জেলা নেতৃত্ব মুকুলবাবুর কাছে বিক্ষুব্ধদের নিয়ে নালিশ করেন। রবিবারের পথসভায় তাই মুকুলবাবুর আর্জি ছিল, নির্দলদের একটাও ভোট নয়। তারপরই দুই বিক্ষুব্ধ নেতাকে বহিষ্কার করা হল। অসীমবাবু অবশ্য বলেন, “বহিষ্কারের কথা দলের কেউ আমাকে জানাননি।” একই বক্তব্য শিবুবাবুর।
|