গণতন্ত্র আক্রান্ত রাজ্যে, দাবি রবীনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
আরামবাগের প্রহৃত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিনয় দত্তকে দেখে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দেব। সোমবার দুপুরে রবীনবাবু-সহ বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল আরামবাগে বিনয়বাবুর বাড়িতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গোঘাটের বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লকের বিশ্বনাথ কারক, দলের নেতা হাফিজ আলি সইরানি, সিপিএমের সৌমেন্দ্রনাথ বেরা প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খানাকুলের মুস্তাফাপুরে সভা থেকে ফেরার পথে দৌলতচক ব্রিজের উপর লাঠি মেরে মোটরবাইক থেকে ফেলে মারধর করা হয় বিনয়বাবুকে। মাথা ফাটে তাঁর। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিনবাবু বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিল বিনয় দত্তকে খুন করা। এর আগে গত ৫ মে কার্ল মার্কসের জন্মদিন পালন করার অপরাধে তাঁর উপরে হামলা হয়। উল্টে তিনিই গ্রেফতার হন। এ বারেও নভেম্বর বিপ্লব স্মরণে তিনি খানাকুলে গেলে হামলা হয়।” তাঁর অভিযোগ, ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। উল্টে খানাকুলে পরে ঘটা একটি ঘটনায় বিনয়বাবুকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। রবীনবাবুর কথায়, “রাজ্যে গণতন্ত্র আক্রান্ত। তৃণমূলের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে।” |
ক্ষতস্থান দেখাচ্ছেন বিনয়বাবু।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রসঙ্গত, বিনয় দত্তর উপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার আরামবাগ শহরে ধিক্কার মিছিল করে সিপিএম। রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না আরামবাগের নেতাজী স্কোয়াডে একটি সংক্ষিপ্ত সভায় বলেন, “বিনয় দত্ত বা সিপিএমের কাউকেই কোথাও মারধর করা হয়নি। তৃণমূল মারধরে বিশ্বাস করলে সিপিএম বহু দিন আগেই মুছে যেত।”
তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল যখন সর্বত্র উন্নয়নের কাজ করছে, তখন সিপিএমের কিছু লোক বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াবার চেষ্টা করছে। সে কারণে গ্রামের লোকই প্রতিবাদ করছে।
সিলিন্ডার উদ্ধার। আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়ে আরামবাগ থানায় অভিযোগ করেছিলেন বেশ কিছু গ্রাহক। সোমবার এসডিপিও শিবপ্রসাদ পাত্রের নেতৃত্বে শহরের কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে ৪১টি গ্যাস সিলিন্ডার এবং ৮টি গ্যাস ভরার যন্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। এসডিপিও জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ দিন ৫টি জায়গায় হানা দেওয়া হয়। তার মধ্যে মনসাতলা এবং কালীপুরের দু’টি জায়গায় থেকে দু’জন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মালিকেরা পলাতক। দেড় বছর আগে অভিযান চালিয়ে কালীপুর থেকেই প্রায় ২৫০টি অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছিল। এ বারও শেখ মৌসম নামে সেই একই মালিকের গুদাম থেকে ৩২টি সিলিন্ডার, গ্যাস ভরার ৬টি যন্ত্র পাওয়া গিয়েছে। মনসাতলা থেকে পাওয়া গিয়েছে ৯টি সিলিন্ডার ও ২টি গ্যাস ভরার যন্ত্র।
|