সভা সেরে ফেরার পথে প্রহৃত হলেন আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিনয় দত্ত। বাঁশের ঘায়ে তাঁর মাথা ফেটেছে। চোট লেগেছে হাতে। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের দৌলতচক ব্রিজের উপরে। বিনয়বাবুর চিকিৎসা চলছে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে।
এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। এ ঘটনা তারই প্রমাণ।” বিনয়বাবু জানান, এ দিন তৃণমূলের জনা তিরিশ লোক ঘিরে ধরে তাঁকে মারধর করে। প্রবীন সিপিএম নেতার কথায়, “ওরা আমাকে মেরেই ফেলতে চেয়েছিল। স্থানীয় কিছু মানুষ এগিয়ে আসায় রক্ষা পেয়েছি।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত অবশ্য দাবি করেছেন, সিপিএমের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই ঘটনা। খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত সিংহরায় আবার বলেন, “গ্রামের কিছু মানুষ পুরনো ক্ষোভ থেকেই হামলা চালায় প্রাক্তন বিধায়কের উপরে।”
কী হয়েছিল এ দিন? পুলিশ সূত্রের খবর, খানাকুলের মুস্তাফাপুরে ডিওয়াইএফের সভা ছিল। সেখান থেকে এক কর্মীর মোটরবাইকে চেপে হরিশচকের দিকে ফিরছিলেন বিনয়বাবু। তাঁর অভিযোগ, দৌলতচক ব্রিজের উপরে জটলা ছিল। পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময়ে বিনয়বাবুর পিঠে লাঠির বাড়ি মারা হয়। বাইক থেকে পড়ে যান প্রবীন সিপিএম নেতা। চালক প্রদীপ সিংহের পায়ে মারা হয় বাঁশ দিয়ে। অভিযোগ, বিনয়বাবুকে মারতে মারতে ব্রিজ ধরে হাঁটিয়ে হরিশচকের দিকে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে খবর যায় পুলিশে।
পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে হুগলি জেলা সিপিএমের দাবি, প্রহৃত নেতাকে উদ্ধার করতে যথেষ্ট উদ্যোগী হয়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে এসপি সুনীল চৌধুরী বলেন, “পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।” |