সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ব্যর্থ মরসুমের পর এক প্রকার ঢাক-ঢোল বাজিয়েই এ বছর মহমেডানে সই করেছিলেন অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার টোলগে ওজবে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে টোলগের অফ ফর্ম ততই অসহিষ্ণুতা বাড়াচ্ছে সাদা-কালো শিবিরের সদস্য সমর্থকদের মধ্যে।
এ দিন যুবভারতীতে টোলগেকে শুরু থেকে নামাননি মহমেডান কোচ আবদুল আজিজ। তা সত্ত্বেও জোসিমারের পেনাল্টি গোলে খালিদ জামিলের মুম্বই এফসিকে হারানোর পর ম্যাচ শেষে টোলগে ইস্যুতে সমর্থকরা কোচের পাশেই। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহমেডান কর্তাও বললেন, “টোলগের ওপর আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশার ধারে কাছে পৌঁছোতে পারেনি ও।”
কোচ আবদুল আজিজ অবশ্য এই ইস্যুতে ঢুকতে নারাজ। শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই জয় পাওয়ায় আট ম্যাচে তাঁর দলের পয়েন্ট দাঁড়াল দশ। এ দিনের জয়ের পর তিনি অবশ্য বলে গেলেন, “টোলগে আমার দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ওকে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।”
টোলগে নিয়ে যখন এই মোহভঙ্গ ঠিক তখন আজিজের দলের ত্রাতা হয়ে উঠছেন ব্রাজিলীয় জোসিমার। আই লিগে সাদা-কালো জার্সি গায়ে সাত গোল হয়ে গেল তাঁর। সেখানে টোলগের গোল মোটে এক। দ্রুত ফর্মে ফিরতে না পারলে নতুন ক্লাবেও ফের ব্যর্থতার খতিয়ান বইতে হতে পারে তাঁকে।
ক্লাইম্যাক্স লরেন্সদের বিরুদ্ধে এ দিন শুরুতে জোসিমারের সঙ্গে অজয় সিংহকে নামিয়েছিলেন আজিজ। পিছন থেকে অপারেট করাচ্ছিলেন পেনকে। এতেই আক্রমণের ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন মুম্বই এফসি ডিফেন্ডাররা। অজয়রা গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে আরও বেশি ব্যবধানে জিতে ফিরতে পারত মহমেডান। ম্যাচ শেষে তাঁদের কোচের আক্ষেপ, “ডুরান্ডে লুসিয়ানোদের চোট দলটার ছন্দ কেটে দিয়েছিল। এ বার সেই ছন্দটা ফিরে পাওয়া গিয়েছে। নবি, ইসফাকদের মতো নতুন কয়েকজন ফুটবলার যোগ দেওয়ায় বৈচিত্র্যও বেড়েছে আক্রমণ এবং রক্ষণে।”
কলকাতায় আজিজের মহমেডান জিতলেও গোয়ার ডার্বিতে কিন্তু এ দিন জয়ের মুখ দেখা হল না সুভাষ ভৌমিকের চার্চিল ব্রাদার্সের। গত বারের চ্যাম্পিয়নরা জেজের গোলে ডেম্পোর কাছে হারল ০-১। এর আগে কলকাতায় ইউনাইটেড স্পোর্টসের কাছেও হেরেছিল গোয়ার দলটি। ফলে সুখবিন্দর সিংহ টিডির পদ ছাড়ার পর সুভাষ সেই জুতোয় পা গলালেও আট ম্যাচের পর এখনও জয়হীন গত বারের চ্যাম্পিয়নরা।
অন্য দিকে, ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসিকে ১-০ হারিয়ে লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে চলে গেল পুণে এফসি। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। লিগ শীর্ষে রয়েছে গোয়ার সালগাওকর। পুণের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে তাদের পয়েন্ট ১৭। |