প্রথম ডেলিভারিটা লেগব্রেক।
দ্বিতীয়টা গুগলি, লেগসাইড দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে।
তৃতীয়টা ডিফেন্ড করলেন ব্যাটসম্যান।
চার নম্বর বলের ফ্লাইট আর ডিপ বুঝতে না পেরে ব্যাটসম্যান পরিষ্কার এলবিডব্লিউ, আর ইডেন জুড়ে সেই পুরনো শব্দব্রহ্ম ‘স-চি-ন... স-চি-ন...।’
সচিনকে উইকেট দিয়ে যিনি ফিরে গেলেন, তাঁকে বুধবারের আগে শহরের বেশির ভাগ মানুষ চিনতেন কি না সন্দেহ। বুধবারের পরেও শেন শিলিংফোর্ড নামটা ক’জন মনে রাখবেন, প্রশ্ন থাকছে। তবে কয়েক মুহূর্তের জন্য অন্তত ইডেনের প্রাপ্তির সঙ্গে মিশে থাকল জনৈক ক্যারিবিয়ান স্পিনারের নাম। মিশে থাকল আরও একটা জাদু-সংখ্যা— দুশো।
শিলিংফোর্ডকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ছেচল্লিশতম উইকেটটা পেলেন সচিন। যার সঙ্গে তাঁর ওয়ান ডে শিকার যোগ করলে মোট অঙ্কটা দাঁড়াচ্ছে দুশো। দুশোতম টেস্ট ম্যাচের ইতিহাস অধরা থাকল তো কী, দুশোর ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁয়ে ফেলল ইডেন। জীবনের একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একটা উইকেট আছে সচিনের নামের পাশে, কিন্তু ক্রিকেটের ‘কুলীন সমাজে’ (টেস্ট ও ওয়ান ডে) উইকেটের ডাবল সেঞ্চুরিটা এল সেই মাঠে, যেখানে বোলার সচিন বরাবরই সফল। তাঁর বিদায়লগ্নে নিশ্চয়ই শহরের স্মৃতিতে আরও বেশি উজ্জ্বল ১৯৯৩-এর হিরো কাপ সেমিফাইনালে বোলার সচিনের শেষ ওভারে টিমকে জেতানো। বা ২০০১-এর ঐতিহাসিক অস্ট্রেলিয়া-বধ যজ্ঞের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ৩-৩১। বুধবার সচিনের নামের পাশে যে বোলিং হিসেব (২-১-৫-১) লেখা থাকল, ক্রিকেটের দাঁড়িপাল্লায় সেটা মাপতে বসা অর্থহীন। দু’ওভারের ওই ছোট্ট স্পেলটার প্রকৃত ওজন লুকিয়ে আছে গ্যালারির সমুদ্রগর্জনে, ইডেন-ফেরত হাজার চল্লিশেকের নিখাদ হাসিতে। |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
|
গেইল ক বিজয় বো ভুবনেশ্বর ১৮
পাওয়েল ক ভুবনেশ্বর বো সামি ২৮
ব্রাভো রান আউট ২৩
স্যামুয়েলস বো সামি ৬৫
চন্দ্রপল বো অশ্বিন ৩৬
রামদিন বো সামি ৪
স্যামি ক ভুবনেশ্বর বো ওঝা ১৬
শিলিংফোর্ড এলবিডব্লু সচিন ৫
পারমল ক ও বো অশ্বিন ১৪
বেস্ট ন.আ ১৪
কটারেল বো সামি ০
অতিরিক্ত ১১
মোট ৭৮ ওভারে ২৩৪।
পতন: ৩৪, ৪৭, ১৩৮, ১৩৮, ১৪৩, ১৭২, ১৯২, ২১১, ২৩৩, ২৩৪।
বোলিং: ভুবনেশ্বর ১৪-৬-৩৩-১, সামি ১৭-২-৭১-৪,
অশ্বিন ২১-৯-৫২-২,
ওঝা ২৪-৬-৬২-১, সচিন ২-১-৫-১।
|
ভারত
|
ধবন ন.আ ২১
বিজয় ন.আ ১৬। মোট ১২ ওভারে ৩৭। বোলিং: বেস্ট ২-০-১৫-০, কটারেল ৫-২-১৩-০,
শিলিংফোর্ড ৪-২-৮-০, পারমল ১-০-১-০। |
|
|