|
|
|
|
পাকিস্তান থেকে ইন্টারনেটে পাঠানো হয় বিস্ফোরণের ছক |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পটনায় বিস্ফোরণের ছক তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানে। ইন্টারনেটে ‘মেসেঞ্জার’-এর মাধ্যমে তা জানানো হয় এ দেশের ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’ (আইএম) নেতাদের। এমনই দাবি করছেন এনআইএ তদন্তকারীরা।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, সীমান্তের ওপারে বসে হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষনেতা রিয়াজ ভটকল। ইন্টারনেটে সেই ছকের কথা জানানো হয় পটনায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অভিযুক্ত তেহসিন আখতারকে। রিয়াজের নির্দেশমতোই হামলা চালায় তেহসিন। এনআইএ তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, দুই জঙ্গিনেতার মধ্যে ইন্টারনেটে ‘কথোপকথন’-এর তথ্য তাঁদের হাতে রয়েছে। তাতে স্পষ্ট হয়েছে, শুধু পটনাই নয়, জুলাই মাসে বুদ্ধগয়া মহাবিহারে হামলার পিছনে রয়েছে আইএম জঙ্গিরাই।
কয়েকদিন আগে বিহারের নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিনেতা ইয়াসিন ভটকল এবং পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা রিয়াজ, কর্নাটকের একই গ্রামের বাসিন্দা। সন্ত্রাসে দু’জনের ‘হাতেখড়ি’ হয়
কার্যত একইসঙ্গে। গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে পাকিস্তানে লুকিয়ে রয়েছে রিয়াজ। ইয়াসিন ধরা পড়ে যাওয়ার পর, ভারতে ওই জঙ্গি সংগঠনের ‘কাজকর্ম’ দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছিল তেহসিন।
পটনায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনের খোঁজে রাঁচির একটি লজে হানা দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। অভিযুক্তের হদিস না-পেলেও, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি এবং ফোন নম্বর পান তাঁরা। নথিগুলি থেকে জানা যায়, বুদ্ধগয়ায় হামলা করতে গিয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর রাঁচি শাখার জঙ্গিরা। তারাই পটনা, বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই ৬ জনের দল তৈরি হয়েছিল।
রাঁচির হিন্দপিরির ওই লজে হানা দিয়ে একটি ক্যালেণ্ডার উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, ক্যালেন্ডারের কয়েকটি পাতার পিছন দিকে পেন্সিল দিয়ে পটনার গাঁধী ময়দানের ছবি আঁকা রয়েছে। ছবির আশপাশে লেখা হয়েছে কোথায় বিস্ফোরক রাখা হবে। নরেন্দ্র মোদীর সমাবেশের সময় গাঁধী ময়দানের পরিস্থিতি কেমন থাকতে পারে--তা’ও আঁকা রয়েছে ওই ক্যালেণ্ডারে। লজের ওই ঘরেই আট মাস ভাড়া নিয়ে ছিল মুজিবুল্লাহ নামে এক যুবক। বিস্ফোরণ-কাণ্ডের কয়েকদিন আগে থেকেই সে নিখোঁজ।
রাঁচির পুলিশ সুপার (সদর) মনোজরতন চোঠে ক্যালেন্ডার উদ্ধারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই লজে বসে কোনও পরিকল্পনা করা হয়েছে।” পটনায় বিস্ফোরণ-কাণ্ডে বোকারোর এক ছাত্রীর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর রটেছে। এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি এনআইএ তদন্তকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সন্দেহের তালিকায় কয়েকজন রয়েছে। এখনই তাদের নাম জানানো সম্ভব নয়। পটনায় বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে আজ রাঁচিতে এনআইএ-র সঙ্গে রাজ্য পুলিশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এডিজি রেজি ডুংডুং জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের নাশকতা রুখতে দু’টি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় গড়তেই বৈঠক করা হয়।
|
পুরনো খবর: মুজাহিদিনকে সন্দেহ, সময়ই প্রশ্ন নীতীশের |
|
|
|
|
|