|
|
|
|
ভোট প্রস্তুতি দেখতে মিজোরামে কমিশন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
সচিত্র ভোটার তালিকা এবং পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ ১০০ শতাংশ সম্পূর্ণ হওয়ায় মিজোরামের ভোট-প্রস্তুতি নিয়ে উচ্ছ্বসিত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।
সে রাজ্যের বিধানসভা ভোটের কাজ সরেজমিনে দেখতে গতকাল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পতের নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি এইচ এস ব্রহ্ম, সইয়দ নাসিম আহমেদ জাইদিরা আইজল পৌঁছেছেন। সম্পত জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে একমাত্র মিজোরামেই ১০০ শতাংশ ভোটারের সচিত্র তালিকা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছে। রাজ্যের প্রত্যেক ভোটারের হাতেও সচিত্র পরিচয়পত্র তুলে দিয়েছে কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার। পুরুষ ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার, মহিলা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার জন।
রাজ্যের মোট ১১২৬টি বুথের মধ্যে ৯৪টি সংবেদনশীল। সেগুলিতে নজরদারির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সম্পত বলেন, “মায়ানমার, বাংলাদেশ সীমান্ত ও পড়শি রাজ্যের সীমানা এলাকায় নজরদারি মজবুত করা হচ্ছে। এলাকাগুলিতে, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ ও ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ মোতায়েন রাখা হবে।” রাজ্যের মুখ্য সচিব, ডিজি ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হয়। এইবারই প্রথম, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠনগুলির সঙ্গেও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় বসে। সম্পতের কথায়, “আমরা মানবাধিকার সংগঠনগুলিকেও পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তাদের বক্তব্য শুনেছি। আমাদের কাছে এটি নতুন অভিজ্ঞতা। পরিচ্ছন্ন নির্বাচন ও ভোটারদের বুথমুখী করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
ছিন্নমূল ব্রু বা রিয়া শরণার্থীদের নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভূক্ত করতে ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাজ্যের বেশ কিছু সংগঠন দাবি জানিয়েছিল, রিয়াংদের নিজের গ্রামে ফিরে এসে ভোট দিতে নির্দেশ দেওয়া হোক। কিন্তু, সম্পতের বক্তব্য, এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিচারাধীন, তাঁরা শরণার্থীদের ভোটাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন।
|
|
|
|
|
|