সরকার নির্ধারিত দরে আলু বিক্রি করার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার থেকে জেলার তিন মহকুমা সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাটে মোট ১৪টি কাউন্টার খোলা হবে। এ ব্যাপারে বুধবার সিউড়িতে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, হিমঘরগুলির মালিকদের সংগঠন, জেলা আলু ব্যবসায়ী সংগঠন, তিন মহকুমাশাসক এবং কৃষি, খাদ্য ও এগ্রিকালচার মার্কেটিং দপ্তরকে জরুরি বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয় সিউড়ি বড়বাজার এলাকায় ২টি, সিউড়ি আদালত, পুরসভা ভবন, টিনবাজার, মহম্মদবাজার ও সাঁইথিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় ১টি করে কাউন্টার থাকবে। |
আলুর জোগানও নেই ক্রেতাও নেই। সিউড়ি কোর্টবাজারের এই ব্যবসায়ী স্বাভাবিক
দিনে গড়ে
৩৫০০-৪০০০ টাকার আলু বিক্রি করেন। আলু না থাকায় লঙ্কা, রসুন,
আদা কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। |
রামপুরহাটের হাটতলায় ৩টি ও বোলপুর মহকুমার বাসাপাড়া এলাকায় ২টি, বঙ্গছত্র ও বোলপুর নিয়ন্ত্রিত বাজার এলাকায় ১টি করে কাউন্টার খেলা হবে। এগ্রিকালচার মার্কেটিং দপ্তরের জেলা আধিকারিক মহম্মদ আকবর আলি বলেন, “পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত কাউন্টারগুলি খোলা থাকবে। প্রাথমিক পদক্ষেপে পরীক্ষামূলক ভাবে অল্প অল্প করে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ করা হবে।” |
বুধবার বোলপুরের হাটতলা বাজারে নামানো হচ্ছে আলুর বস্তা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, “আমরা সরকার নির্ধারিত দরে আলু ক্রেতারা যেন পান, তার জন্য প্রশাসনকে সব দিক থেকে সাহায্য করতে রাজি আছি।” জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা বলেন, “জেলার সর্বত্র সরকার নির্ধারিত দরে আলু বিক্রি করতে চাই। এ জন্য আজ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।” এ দিকে, বুধবারও বিভিন্ন বাজারে হন্যে হয়ে ঘুরেও অনেক সাধারণ ক্রেতা আলু কিনতে পারেননি। ফলে অনেকের ঘরে আলুর পদের কোনও রান্নাও হয়নি। যথারীতি বোলপুরের বিভিন্ন বাজারে প্রশাসনের তরফে অভিযান চালানো হয়।
|