শিবির বাড়লেও আলু দুমূর্ল্যই
প্রশাসনিক অভিযান বা শিবির করে সরকারি মূল্যে জ্যোতি আলু বিক্রি সত্ত্বেও বাঁকুড়া জেলায় খোলা বাজারে আলুর দাম কমছে না। ভাইফোঁটার দিন মঙ্গলবারও বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর শহরের পাশাপাশি বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাটির মতো ব্লক সদরগুলিতেও সরকারি মূল্যের (কেজি প্রতি ১৩ টাকা) চেয়ে দু’টাকা-এক টাকা বেশি দামেই জ্যোতি আলু বিক্রি হল। ফলে এ দিনও অখুশি মনেই বাজার সারলেন বাসিন্দারা।
সোমবার থেকে এই জেলায় শিবির করে সরকারি মূল্যে আলু বিক্রি শুরু করছে পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। প্রথম দিন বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা এলাকায় পুরভবনের পাশে ও বিষ্ণুপুরে স্টেশন রোডের বাজারে এই শিবির করা হয়। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরে আরও কয়েকটি শিবির নতুন করে খোলা হয়। সমিতির জেলা কমিটির সদস্য শিবশঙ্কর কুণ্ডু বলেন, “মাচানতলা ছাড়াও বাঁকুড়া শহরে পুলিশ লাইন, আশ্রমপাড়া ও লালবাজারে আমরা শিবির শুরু করেছি। মানুষের ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ সমিতির বিষ্ণুপুর শহর কমিটির সভাপতি রাজীব দে জানান, আজ বুধবার থেকে শহরের চকবাজার ও মাধবগঞ্জ এলাকাতেও এই ধরনের শিবির খোলা হবে।
সোমবার বিষ্ণুপুরের চকবাজারে আলুর দাম খতিয়ে দেখতে অভিযান চালায় বিষ্ণুপুর মহকুমা কৃষি বিপণন দফতর। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে যাঁরা বেশি দামে জ্যোতি আলু বিক্রি করছিলেন, আধিকারিকরা তাঁদের সতর্ক করেছিল। কিন্তু তার পরেও আলুর বর্ধিত দামের পরিবর্তন হয়নি বলে ক্ষোভ বাসিন্দাদের। বিষ্ণুপুরের বড়কালীতলার বাসিন্দা গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, “পুজোর পর থেকেই আলুর দাম মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। একে বাজারে ভাল আলু নেই। যা রয়েছে তাও কেউ ১৫ টাকা, কেউ বা ১৬ টাকা কেজি প্রতি দর হাঁকছে।” শুধু বিষ্ণুপুর নয় বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা, চকবাজারেও এ দিন ১৪-১৫ টাকা দরে আলু বিক্রি হয়েছে। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট এলাকার বাসিন্দা সমর নন্দী বলেন, “বাজারে আলু ১৪ টাকার নীচে নেই। মানও ভাল নয়। লালবাজারের শিবির থেকে দু’কেজি আলু কিনলাম।”
বিষ্ণুপুর মহকুমার কৃষিবিপণন আধিকারিক ক্ষুদিরাম সাঁতরা বলেন, “বাজারগুলিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। তা আরও বাড়ানো হবে।”এ দিকে খুচরো আলু ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, চাষি আর খুচরো ক্রেতাদের মাঝে আলুর কেনা-বেচা যাঁরা করেন, তাঁরাই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে তাঁদের উপরেই প্রশাসনের নজরদারি চালানো উচিত। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে আলু কেনার পরে পরিবহণ খরচ মিটিয়ে সরকারি মূল্যে আলু বিক্রি করলে আমাদের হাতে আর লাভ থাকছে না।’’
গ্রামাঞ্চলেও বাজারে এ দিন আলুর দাম চড়া ছিল। তাই গ্রাম-গঞ্জের বাসিন্দারা দাবি করছেন, এ বার ব্লক সদর ও গ্রামের হাটগুলিতও সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির শিবির করা হোক। জেলায় বাজারের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য গঠিত হওয়া টাস্কফোর্সের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মৌমিতা বসুর আশ্বাস, “জেলার প্রত্যেকটি ব্লকেই সরকারি মূল্যে শিবির করে আলু বিক্রি করার প্রক্রিয়া চলছে।’’



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.