শয্যা সংখ্যা বাড়ছে মেডিক্যালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) এবং ডায়ালিসিস ইউনিটে শয্যা সংখ্যা বাড়ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সিসিইউতে বর্তমানে ৬টি শয্যা রয়েছে। তা বেড়ে হবে ২০টি। আর ডায়ালিসিস ইউনিটের ৪টি শয্যা বেড়ে হবে ১০টি। সোমবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ দিন বৈঠকে ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তমালকান্তি ঘোষ, হাসপাতাল সুপার যুগল কর। বৈঠক শেষে মৃগেনবাবু বলেন, “সিসিইউতে ২০টি এবং ডায়ালিসিসে ১০টি শয্যা চালু হলে আর তেমন সমস্যা হবে না।” |
মেডিক্যালে চেনা ছবি। শয্যা মেলেনি, মেঝেতেই ঠাঁই।—ফাইল চিত্র। |
এ দিনের বৈঠকে আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীর পরিজনদের সঙ্গে চিকিৎসকেরা যাতে নির্দিষ্ট একটা সময় দেখা করতে পারেন, তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে নতুন একটি ভবন তৈরি হবে। যেখানে গরিব মানুষ নামমাত্র ভাড়ায় রাতে থাকতে পারবেন। ক্যাম্পাসে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে না। হাসপাতালের দু’দিকে চেক-পোস্ট তৈরি হবে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। রাতেও নজরদারি চলবে। উপাদন পৃথকীকরণের জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কে যে অত্যাধুনিক যন্ত্র পড়ে রয়েছে, তা চালু করা হবে। ‘মা ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র’ তৈরির কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু হবে।
হাসপাতালের নতুন ভবনে পাইপ ফেটে মাঝেমধ্যে জল পড়ে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হাসপাতাল সুপার যুগল করকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। পাইপ ফাটলে তা মেরামতের দায়িত্বও কমিটির। এই সব সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর হবে বলে মৃগেনবাবু আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি নিজে চেক-আপ করব। হাতে সময় পেলে হাসপাতালে চলে যাব। সোমবারের বৈঠকেও বলেছি, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করতে হবে। কোনও গড়িমসি চলবে না।”
মেদিনীপুর মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগে শয্যা-সঙ্কট দীর্ঘ দিনের সমস্যা। পর্যাপ্ত শয্যার অভাবে একই শয্যায় দু’জনকে থাকতে হয়। যেখানে সঙ্কটজনক রোগীদের রাখা হয়, সেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এও এতদিন মাত্র ৬টি শয্যা ছিল। এক সময় ঠিক হয়, শয্যা বাড়িয়ে ১৬টি করা হবে। তবে, পরে ঠিক হয়েছে, সিসিইউতে ২০টি শয্যা করা হবে। অন্য দিকে, ডায়ালিসিস ইউনিটে ৪টি শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি শয্যাই সাধারণত চালু থাকে। এখানে শয্যা সংখ্যা বেড়ে ১০টি হবে। এর ফলে রোগীরা উপকৃত হবেন। |