টুকরো খবর
শয্যা বৃদ্ধির অনুমোদন মিলল বৈঠকে
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫৯৯ থেকে বাড়িয়ে ৯১৭ টি করার প্রাথমিক অনুমোদন মিলেছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর বিষয়টি অনুমোদন করেছে। তবে অর্থ দফতরের অনুমোদন মেলেনি। সোমবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন সমিতির সদস্য তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএস-এর আসন ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। সেই মতো শয্যা সংখ্যা বাড়ছে। প্রাথমিক ভাবে তা জানানো হয়েছে।” মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, শয্যার সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যাও বাড়বে। সে কারণে অর্থ দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন। কেন না সেই মতো বার্ষিক অন্তত ২৫ কোটি টাকা খরচ বাড়বে।
এ দিন বৈঠকে রোগী ক্যালণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ছিলেন না। তিনি কাজে পাহাড়ে থাকায় এ দিনের বৈঠকে থাকতে পারেননি। রুদ্রবাবু ছাড়া অপর সদস্য মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার এবং অন্যান্যরা ছিলেন। কর্তৃপক্ষ জানান, ক্যাম্পাসে ন্যায্যমূল্যে ওষুধ কেনার দোকান থেকে সঠিক পরিষেবা মিলছে কি না তা খতিয়ে দেখতে একটি নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসকরা ছাড়াও রোগী ক্যলাণ সমিতির কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরাও তাতে রয়েছেন। রোগীর আত্মীয়দের থাকার ব্যবস্থার জন্য দ্বিতল একটি ভবন তৈরি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে সাংসদ তহবিলের টাকায়। সাংসদ তলবিল থেকে ওই কাজের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় বিশেষ ওষুধ সরকারি ভাবে এই হাসপাতাল থেকে সরবরাহ করা হবে। হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মী সংখ্যা বাড়িয়ে তা ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়াও একটি নতুন সিটি স্ক্যান যন্ত্র উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সহায়তায় কেনা হবে হাসপাতালের জন্য।

এ বার হিড়বাঁধে আন্ত্রিক
এ বার আন্ত্রিকের প্রকোপ দেখা দিয়েছে হিড়বাঁধের রাঙা ও বাসুদেবপুর গ্রামে। গত কয়েক দিনে আন্ত্রিকে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ জন। পুকুরের দূষিত জল ব্যবহার করেই এই রোগ ছড়িয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। খবর পেয়ে রবিবার সকালে এলাকায় চিকিত্‌সক দল যায়। হিড়বাঁধ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুনীল মুর্মু জানিয়েছেন, আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাঙা এবং বাসুদেবপুর গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই শৌচাগার নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামের পুকুর পাড়ে শৌচকর্ম সারেন। আবার সেই পুকুরেই বাসন মাজা, কাপড় কাচার কাজ করা হয়। সুনীলবাবু বলেন, “গ্রামের মানুষ পুকুরের পাড়ে শৌচকর্ম করার বৃষ্টিতে তা ধুয়ে পুকুরের জলে মিশেছে। ফলে জল দূষিত হয়েছে। সেই জলই গ্রামের মানুষ ব্যবহার করায় এই রোগ ছড়িয়েছে।” তিনি জানান, স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামবাসীদের আপাতত পুকুরের জল ব্যবহার করতে বারণ করেছেন। শুক্রবার থেকে ওই দু’টি গ্রামের ১৫ জন আন্ত্রিকে আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ২ দেবাশিস রায় বলেন, “ওই দু’টি গ্রামে চিকিত্‌সক দল পাঠানো হয়েছিল। খাবার জল পরিশোধনের জন্য হ্যালোজেন ট্যাবলেট এবং এলাকা জীবাণুনাশ করতে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে।” হিড়বাঁধের বিডিও শঙ্খশুভ্র দে বলেন, “ওই দু’টি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে শৌচাগার নেই। এ জন্যই গ্রামের মানুষ অনেকটা বাধ্য হয়ে পুকুরপাড়ে শৌচকর্ম সারছেন। সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্পে যাতে প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণ করা যায় তার জন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে কাজ শুরু করতে বলেছি।”

গাফিলতির অভিযোগ
তড়িদাহত হয়ে এক কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। সোমবার দুপুরে তড়িদাহত হয় ইসলামপুরের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী মৃত চিনু মোদক (১৪)। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতার আত্মীয়েরা হইচই করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.