|
|
|
|
পাকা ধানে পোকার হানা, সতর্কতা কৃষি দফতরের
সুমন ঘোষ • মেদিনীপুর |
ধানে শোষক পোকার আক্রমণ দেখা দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে। এই সময় ধান পাকতে শুরু করেছে। যেগুলি এখনও পাকেনি, কিছুদিনের মধ্যেই পাকা শুরু হবে। তার আগে শোষক পোকা লাগলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। যদিও কৃষি দফতরের দাওয়ায়, দুমদাম কীটনাশক ব্যবহার নয়। যাতে ধানের গোড়ার কাছে আলো বাতাস ঢুকতে পারে সে জন্য ৭-৮ টি সারি অন্তর একটির সঙ্গে অন্য সারির দুরত্ব বাড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই আলো বাতাস ঢুকবে। তখনই এই পোকার আক্রমণ কমবে। |
ধানে পাক ধরতেই শুরু হয়েছে পোকার আক্রমণ।—নিজস্ব চিত্র। |
কৃষি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর নিমাইচন্দ্র রায়ের কথায়, “দুমদাম ওষুধ ব্যবহার না করাই ভাল। প্রথমে ধানের সারি সরিয়ে আলো বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। আর দেখতে হবে ৭৫-৮০ শতাংশ ধান পেকে গিয়েছে কিনা। তাহলে কেটে নেওয়া ভাল। যদি তা না হয় তাহলে দেখতে হবে বন্ধ পোকার পরিমাণ কেমন রয়েছে। যদি বন্ধু পোকার সংখ্যা কম থাকে ও দেখা যায় শোষক পোকা ধানের তিনটি গোছে দশ বা তার অধিক শোষক পোকা রয়েছে, তখন ওষুধ প্রয়োগন করতে হবে।” এ ব্যাপারে বিভিন্ন এলাকায় লিফলেটও ছড়ানো হয়েছে বলে কৃষি দফতর জানিয়েছে। কী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে? কৃষি দফতর জানিয়েছে, কার্বারিল হলে ২.৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে, অ্যাসিফেট হলে ০.৭৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে, ডাইক্লোরোভস ০.৭৫ মিলিলিটার প্রতি লিটার জলে, ইমিডাক্লোট্রিব হলে ০.২০ মিলি প্রতি লিটার জলে দিয়ে স্প্রে করতে হবে। কৃষি দফতরের পরামর্শ, অবশ্যই ধানের গোড়াতে ওষুধ স্প্রে করতে হবে। ওপরে নয়। তাহলে সেই ধানের চাল খেলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আর ওষুধ স্প্রে করতে হবে সকাল ১দটার মধ্যে বা বিকেল চারটের পর। নতুবা ওষুধ প্রয়োগে কাজ হবে না। |
|
|
|
|
|