|
|
|
|
পূর্বে কেন্দ্রীয় দল |
ধান চাষে ক্ষতি ৩৫০ কোটির
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
সাম্প্রতিক অতিবর্ষণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুধু ধান চাষেই ক্ষতির পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া পান, ফুল, সব্জি ও মশলা চাষেও ক্ষতির পরিমাণও বেশ কয়েক কোটি টাকা। এই অবস্থায় বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে আজ, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি দফতরের একটি প্রতিনিধিদল জেলা পরিদর্শনে আসছেন।
গত অগস্ট মাসে অতিবর্ষণ ও ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ায় পাঁশকুড়ায় কাঁসাই নদীর বাঁধ ভেঙে সংলগ্ন প্রায় ২৭০টি মৌজা প্লাবিত হয়। এরপর আরও দু’বার ওই জায়গাতেই বাঁধ ভাঙে। ফলে গত আড়াই মাস ধরে ওই গ্রামগুলি জলের তলাতেই থাকায় চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিবর্ষণের জেরে জেলার অন্য এলাকাতেও জল জমে চাষের ক্ষতি হয়েছে। জেলা কৃষি দফতরের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, অতিবর্ষণের জেরে জেলার ৬২ হাজার ৬১৫ হেক্টর জমির আমন ও আউশ ধানের চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর্থিক হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০৫ কোটি টাকা। ক্ষতির মুখে পান, ফুল, সব্জি, মশলা ও মাছ চাষও। জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, শুধুমাত্র পাঁশকুড়া, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকে ৪ হাজার ৮৮৮ হেক্টর জমির পান, ফুল, সব্জি ও মশলাচাষের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে জেলার অন্যত্রও। জেলা উদ্যান পালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের আধিকারিক স্বপন কুমার শিট সোমবার বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পাওয়া পান, ফুল, সব্জি ও মশলা চাষের ক্ষতির হিসেব এখন আরও বেড়েছে। জেলার অন্যান্য ব্লকের ক্ষতির হিসেবের কাজ চলছে। দফতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।”
এ দিকে, পাঁশকুড়া, তমলুক ও নন্দকুমার ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখনও জলমগ্ন রয়েছে। দুর্গতরা এখনও অনেকেই ত্রাণ শিবিরে দিন কাটাচ্ছেন। সামনেই বোরোচাষের মরসুম। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত জল না নামলে বোরো চাষের বীজতলা লাগাতেও সমস্যা হবে। জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনরায় চাষের জন্য মিনিকিট দেওয়া হবে। আমরা এক লক্ষের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চাষির তালিকা তৈরি করেছি। নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত চাষির নাম তালিকাভুক্ত হবে। ওই কৃষকরা যাতে সময়মতো মিনিকিট পায় সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|