|
|
|
|
চোলাই বিক্রির প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত নেতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাজারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলত অবৈধ দেশি ও চোলাই মদের দোকান। সম্প্রতি সেই চোলাই মদের ঠেক ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়ায় এক তৃণমূল নেতাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল চোলাই ব্যবসায়ীরা। সোমবার দুপুরে তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের নোনাকুড়ি বাজারে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। দিবাকর জানা নামে আক্রান্ত ওই তৃণমূল নেতা গুরুতর আহত অবস্থায় তমলুকের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।
এ দিকে, খোদ শাসকদলের ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ সদস্য দিবাকরবাবুর উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুদ্ধ তৃণমূল সমর্থকরা এদিনই সন্ধ্যায় বাজারের ওই মদের ঠেকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তমলুক থেকে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়। পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ মদ কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |
দিবাকর জানা। —নিজস্ব চিত্র। |
হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ধারে তমলুকের নোনাকুড়ি বাজারে দীর্ঘ দিন ধরেই কয়েকটি দেশি ও চোলাই মদের ঠেক চলে। কয়েক বছর আগে ওই ঠেক থেকে চোলাই খেয়ে ৫০ জনের বেশি মারা গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পরও চোলাই মদের কারবার রমরমিয়ে চলছিল এলাকায়। স্থানীয় তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য দিবাকর জানার নেতৃত্বে একদল তৃণমূল সমর্থক কয়েকদিন আগে কিছু মদের ঠেকে ভাঙচুর চালালে গোলমাল বাধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নোনাকুড়ি বাজার লাগোয়া জানুবসান গ্রামের একদল তৃণমূল সমর্থক ওই ঠেক ভাঙতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে গ্রামের চোলাই মদ বিক্রেতাদের মধ্যে বিরোধ বাধে। মীমাংসার জন্য দু’পক্ষকে সোমবার দুপুরে নোনাকুড়ি বাজারে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল। ওই বৈঠকে যোগ দিতে এসে দু’দলের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এই সময় মোটর সাইকেলে করে দলীয় অফিসে ঢুকছিলেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য দিবাকর জানা। আচমকা তাঁর উপর রড-লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে চোলাই কারবারীরা। ঠেকের মালিক শেখ সহিদুল, শেখ সেলিম ও শেখ সেসিবুল নামে তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ শেখ সহিদুলের মা জ্যোৎস্না বিবিকে গ্রেফতার করেছে। তমলুক থানার ওসি অরুণ খান বলেন, “অভিযুক্ত তিন ভাই পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
|
|
|
|
|